
মুম্বইয়ের মাদক চক্র ফাঁস করতে গিয়ে নিজেই চক্রব্যূহে আটকে পড়েছিলেন এনসিবি কর্তা ওয়াংখেড়ে। আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এই মামলার গতি যত এগিয়েছে ওয়াংখেড়ের পায়ের তলার মাটিও ততটাই নরম হয়েছে। একটা সময় ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারির দাবি উঠতে শুরু করেছিল।
মাদক মামলার তদন্ত চলাকালীন সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে সরব হন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা নবাব মালিক। এই নবাবের জামাই সমীর খানকেও মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছিলেন ওয়াংখেড়ে। নবাব দাবি করেছিলেন সমস্ত অভিযোগও ভুয়ো। এমনকি এনসিবি কর্তার চাকরি কেড়ে নেওয়ার হুমকিও দেন তিনি। আরিয়ানের মামলার সাক্ষী নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে তখন ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন এই মামলার দুই অন্যতম সাক্ষী কিরণ গোসাভি এবং তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী প্রভাকর সইল। ওয়াংখেড়ে নাকি ৮কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন, এমনই দাবি ছিল সইলের।
সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে এখন বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তাই এখন তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে জানিয়েছে এনসিবি। সেই জায়গায় আরিয়ান কাণ্ডের সমস্ত মামলার দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয় সিং।