শেষ আপডেট: 6 June 2022 08:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সত্যজিত রায়ের পথের পাঁচালি তৈরিকে প্রেক্ষাপট করে ছবি তৈরি করেছেন অনীক দত্ত। ছবির নাম 'অপরাজিত' (Aparajito)। সব মহল থেকেই এই ছবি নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে। ছবির প্রতিটি ডিটেলিং মনে ধরেছে দর্শক থেকে সমালোচক সকলেরই। যে কটা প্রেক্ষাগৃহে এই ছবি চলছে, সেখানে হু হু করে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। তবে এত হইহইয়ের মধ্যেও অপরাজিত ঘিরে নতুন অভিযোগে সরগরম হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। গল্প নাকি চুরি করেছেন অনীক দত্ত!
গল্প চুরির অভিযোগ তুলে পরিচালক ও 'অপরাজিত'র প্রযোজকদের আইনি নোটিস পাঠাল আরেক প্রযোজনা সংস্থা 'সাধু ব্রাদার্স এন্টারটেনমেন্ট প্রোডাকশন হাউস’। শুধু তাই নয়, সেই নোটিসে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছে ওই সংস্থা।
ঘটনাটি কী? অভিযোগকারীদের তরফে বলা হচ্ছে, ২০১২ সালে এই একই ভাবনার ওপর সিনেমা করার জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু শ্যুটিং শুরু হলেও প্রযোজকের অভাবে এই কাজ মাঝ পথেই থমকে যায়। এখন এসে দেখা যাচ্ছে এই ভাবনার ওপরই অন্য এক সংস্থা ছবি করে ফেলেছে। নাম নথিভুক্ত থাকার পরেও কীভাবে এমন করতে পারল? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী আচার্য হবেন কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রাণী সম্পদ বিশ্ববিদ্যালয়েও, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত আজই
সাধু ব্রাদার্সের তরফে আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী এই আইনি নোটিস পাঠান অপরাজিত সিনেমার (Aparajito) পরিচালক অনীক দত্ত ও প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান, প্রবাল হালদারকে। দ্য ওয়ালের তরফে অয়ন চক্রবর্তীরে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, " আমরা গত শনিবার এই নোটিস পাঠিয়েছে। সেখানে সাতদিনের সময় দেওয়া আছে। যদি এই সাতদিনের মধ্যে কোনও জবাব না আসে তবে আমরা আইনি পথে যাওয়ার কথা ভাবব।"
প্রদত্ত নোটিশে বলা হয়েছে, অপরাজিত কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করেছে। এমনকি চিত্রনাট্যের একাংশ চুরি করাও হয়েছে। কিন্তু এমন কাণ্ড কী করে ঘটল? অয়নবাবুর কথায়, "সাধু ব্রাদার্সের তরফে এই ভাবনা অনেককেই শোনানো হয়েছিল। এমনকি ফিরদৌস হাসানও ছিলেন তাঁদের মধ্যে। অনুমান সেখানেই থেকেই গল্প চুরি হয়েছে।
কিন্তু এতকিছু বিতর্ক যে ছবি ঘিরে সেই অপরাজিত ছবির পরিচালক (Anik Dutta) কী বলছেন? পরিচালক অনীক দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "এখনও কোনও নোটিস পাইনি। নোটিস পেলে তখন যা বলার বলব।" এখন এটাই দেখার কোনদিকে জল গড়ায় এই বিতর্কের।