ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 10th November 2024 23:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একটু 'খারাপ' খেয়ে ওভারঅল এতই ভাল থাকা যায়, সেটা যে এই মজা না পেয়েছে বুঝবে না। অনেকেই ভাবেন, ভাল খাবার খেলে মন ভাল হবে, তাই তো, কিন্তু এটা খুবই অস্বচ্ছ ধারণা। মন ভাল বলে কিছু হয় না। সাময়িকভাবে ওই টেস্টটা উত্তেজিত করে, ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ করে। কিন্তু ডোপামিন আসলে হ্যাপি হরমোন নয়। হ্যাপি হরমোন হল অক্সিটোসিন। সেটা সবচেয়ে ভাল সিক্রিশন হয়, এক্সারসাইজ করলে। ঘাম ঝরার মতো করেই অক্সিটোসিন ঝরে। আসল 'হ্যাপিনেস' তখনই ফিল করে শরীর, মন, মাথা।
তেমনি উল্টোদিকে যত 'ভাল' খাবার, জাঙ্ক, তেল, ময়দা শরীরে ঢোকে, তত কমে যায় অক্সিটোসিন। এই একঘেয়ে সাদামাঠা খাবার নিয়মিত খেতে থাকলেই ধীরে ধীরে অক্সিটোসিন বাড়ে। শরীর অনেক অনেক ভাল থাকে। এত ভাল থাকে, যে তখন কেউ মিস করে না জাঙ্কফুড। করলেও চিট ডে-র মতো করে এক-দু'দিন যথেষ্ট। ফলে ফিট থাকতে চাইলে মেনে চলতেই হবে বিশেষ ডায়েট।
জীবনযাপনে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে ঊরু, কোমরেও। অনলাইনে হালফ্যাশনের পোশাক দেখেই হাত নিশপিশ করছে, তবে কেনার কথা ভেবেও আর কেনা হচ্ছে না! বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাড়তি ওজন। তবে চাইলেই ক্রিকেটার বা সেলিব্রিটিদের মতো ফিট চেহারা পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেট দলে যদি কোনও খেলোয়াড়ের ফিটনেসের উদাহরণ দিতে হয়, তাহলে সবার আগেই আসবে টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির নাম উঠে আসবে। তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও এদিক থেকে তালিকার শীর্ষে। তবে শুধুই এঁরা দু'জন নন। দীপিকা পাড়ুকোন থেকে দিশা পাটানি, কীভাবে নিজেদের এমন চেহারা ধরে রেখেছেন? তারা কিন্তু সাধারণ ডায়েট করেন না।
ডায়েট করে ওজন কমাতে চাইলে কার্বোহাইড্রেট পুরোপুরি খাওয়া বন্ধ করে দিলে হবে না। এ ক্ষেত্রে ভরসা রাখা যেতে পারে মোনোট্রফিক ডায়েট বা মোনো ডায়েটে। মনোট্রপিক ডায়েট বলতে যা বোঝায়, তা হল এটা খুব সহজ একটা খাদ্যাভ্যাস যেখানে একজন ব্যক্তি প্রতিবেলায় একই খাবার যেমন- কলা খাবেন কয়েকদিন বা সপ্তাহ যাবত। সহজ উপায়ে ওজন কমাতে চাইলে এই ডায়েট মানা যেতেই পারে। বিরাট কোহলি, অনুষ্কা শর্মা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এসে জানিয়েছেন, তাঁরা মাসের পর মাস একই ধরনের খাবার খান। আর এই খাদ্যাভ্যাসে তাদের কোনও অসুবিধাও হয় না।
এই ডায়েটের উপকারিতা
মনোট্রপিক ডায়েট শরীরে কোনও রকম ক্যালরি ঢুকতে দেয় না, যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে এটা নির্দ্বিধায় ভাল কাজ করে। তবে দীর্ঘমেয়াদের জন্য মোটেও ভাল নয়। অনেকেই ওজন কমানোর অন্যান্য পদ্ধতির আগেই এই খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করে থাকেন। তবে যেহেতু একাধিক খাবার খাওয়া যায় না, তাই দেহে পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এই কারণে পরে ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে যায়।