হুলিগানিজম। গ্রাফিক্স: শুভ্র শর্ভিন
শেষ আপডেট: 28th March 2025 15:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘আমাদের জীবনতলায় মটরগাড়ি ঘুরছে মরণকূয়ায় দেখতে যাব আমিতুমি’। শুভদীপ, দেবরাজ, কৃশানু, সুশ্রুত, নীলাংশুক, প্রতীম, সোমেশ্বর, উজান এবং অনির্বাণদের নতুন বাংলা গানের দলের প্রথম গান। মেলার গান। ব্যান্ডের নাম ‘হুলিগানিজম’। বাংলায় যার অর্থ গুন্ডামি। সরাসরি তা না থাকলেও প্রচ্ছন্ন ‘গুন্ডামি’ রয়েছে তাঁদের গানে।
স্বীকার করেলেন ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শুভদীপ গুহ, বললেন, ‘শুধু নামেই নয়, গুন্ডামি গানেও, রয়েছে।’ অনির্বাণদের ‘হুলিগানিজম’ চলছে তাও বছর পাঁচেক। মূলত নাটকের গান লেখা, তা সুর করে গাওয়াতেই সীমিত ছিল। তবে পরের দিকে আরও সদস্যরা যুক্ত হতে থাকে। আসতে থাকে ‘কল শো’। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিসিআর, কৌশিক সেনের নাট্যদল ‘স্বপ্নসন্ধানী’র ডাকেও জমিয়ে দিয়েছিল ‘হুলিগানিজম’। ইউটিউব কনসার্টের ‘প্রার্থনা সঙ্গীত’ কিংবা ‘মরুক, মরুক’, হুলিগানিজমের এ সব গান নিয়ে চর্চাও অব্যাহত ছিল।
View this post on Instagram
এসব পেরিয়ে এবার একেবারে শ্রোতাদের জন্য অফিসিয়ালি প্রথম গান মুক্তি পেল। ‘মেলার গান’। যাঁরা- যাঁরা শুনেছেন ‘হুলিগানিজম’, তাঁদের অনেকর মত, ‘ঠিক আছে, তবে ভীষণ রাজনৈতিক’। শুভদীপ বললেন, ‘আমাদের চারপাশে, যা হচ্ছে, তা কোনওটাই রাজনীতিহীন হচ্ছে না। দলীয় রাজনীতি বুঝলে আবার গণ্ডগোল! আমরা কী পরব, খাব কিংবা স্বপ্ন দেখব, তা গোটাটাই পলিটিক্যাল। প্রেমও রাজনীতি রয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টি ছাড়াও রাজনীতি রয়েছে। তাই আমাদের গানেও রাজনীতি আছে। এই সময়ের রাজনীতি। যা চাইছি, বা যা দেখতে চাইছি না, সবটাই আছে।’
‘হুলিগানিজম’-এর প্রথম গানের নাম ‘মেলার গান’। অ্যালবামের মোট রয়েছে ছটি গান। আগামী পাঁচ মাসে, পাঁচটি গান মুক্তি পাবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘এক মিনিটের চুমু’, বিষাদের গান, ‘হুলিগানিজম’-এর ম্যানিফেস্টো সং। গানের নামকরণ কিংবা তার কথায় রয়েছে চমক, শব্দচেতনা এবং স্যাটায়ার। যার সঙ্গে শ্রোতারা মিলে পেতে পারে, ‘চন্দ্রবিন্দু’র গানের কথার সঙ্গেও, ‘আমাদের বড় হয়ে ওঠা, চন্দ্রবিন্দু, ফসিলস্, ক্যাকটাসদের সঙ্গে। তাই আমাদের প্রচুর অনুরপ্রেরণা। আমরা ন’জনের ন’রকম মিউজিক্যাল পরিচিতি এবং পছন্দ। তাই অনুপ্রেরণায় রয়েছে বহু ধরণের গান।’
‘মেলার গান’-এর গানটিকে ভিডিওতে সাজিয়েছেন ঋদ্ধি সেন, বললেন, ‘ওদের গানে একটা সামাজিক দর্শন আছে। থিয়েট্রিক্যাল অ্যাপ্রোচ রয়েছে, যা আমাকে এই কাজের প্রতি আকৃষ্ট করে। আমার কাছে তিনটে গান পরিচালনার প্রস্তাব আসে। আমার এই গানটি বেশ পছন্দ হয়েছে।’
একদিকে যখন বাংলায়, বাঙালিরাই হিন্দি কিংবা পাঞ্জাবি গানের সন্ধে সাজাচ্ছে মাঠে-ময়দানে, মাচায়। সেই বাংলাতেই প্রতি মাসে মুক্তি পেতে চলেছে একটি করে নতুন বাংলা গান। এক নতুন বাংলা গানের দলের। অনির্বাণ ভট্টাচার্য পরিচালিত প্রতি কাজেই এক সোঁদা মাটির গন্ধ ছিল। যা বাংলার, বাংলার শিকড়ে লেগে থাকা মানুষের কথা বলেছিল। আর এবার শুধুমাত্র পর্দায় আটকে থাকলেন না অনির্বাণ। একেবারে দলবল নিয়ে অনির্বাণ, সেই মাটির ভাষাতেই, মানুষগুলোর মনের কথা গানে-গানে শোনাতে চলেছেন।