সময় রায়না
শেষ আপডেট: 9 May 2025 19:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন কিছু নয়। কিন্তু যুদ্ধসদৃশ পরিস্থিতি তৈরি হলেই সীমান্ত ঘেঁষা শহরগুলির কাঁধে যেন চাপিয়ে দেওয়া হয় এক অনিশ্চয়তার ভার। জম্মু, কাশ্মীর, পাঞ্জাব কিংবা রাজস্থান—সীমান্তের ধারে ছায়া ঘন হলে আলো নিভে যায় শহরের। তেমনই ঘটেছে এবারও। সরকারের তরফে নির্দেশ, ব্ল্যাকআউট করতে হবে সীমান্তের পাশে থাকা শহরগুলোকে। নিভে গেছে আলো। কিন্তু নিভে যায়নি প্রিয়জনের চিন্তা।
মুম্বইয়ে বসে চিন্তায় রয়েছেন সময় রায়না। তাঁর বাবা রয়েছেন জম্মুতে। যুদ্ধের আঁচ এসে লাগছে প্রতিটি সংবাদে, প্রতিটি স্ট্যাটাসে। অথচ বাবার সঙ্গে ফোনে পাওয়া কয়েক মিনিটের কথায় কিছুটা স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন সময়।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তিনি লিখেছেন, "জম্মু থেকে আমার বাবা আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। বাবার স্থির এবং শান্ত কণ্ঠস্বর শুনে আমিও নিশ্চিন্ত হলাম কিছুটা। বাবা বারবার আমাকে চিন্তা করতে মানা করেছেন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন।"
তিনি লিখেছেন, "বাবার সঙ্গে কথা বলার পর আমি আমার মুম্বইয়ের বাড়ির আলো নিভিয়ে জানলার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন দেখলাম, আমার এক প্রতিবেশীর ঘরের আলো এখনও জ্বলছে। আমি তাঁর সম্পর্কে কিছুই জানি না। কিন্তু কেন জানি না, আজ মনটা অস্থির হয়ে উঠল। হয়তো তাঁর প্রিয় মানুষটিও জম্মুতে রয়েছেন। হয়তো তাঁর বাড়িতেও একজন সেনা রয়েছেন। তাই রাতভর ঘুম আসছে না তাঁরও।"
শেষে তিনি লেখেন, "জম্মুর সব নাগরিকের জন্য আমার প্রার্থনা। শান্তিতে ঘুমাও। সেনাবাহিনীর ওপর বিশ্বাস রাখো। তাঁদের আত্মত্যাগের জন্য আমরা চিরঋণী। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার পরম শ্রদ্ধা। শুভরাত্রি। জয় হিন্দ।"