Advertisement
অক্ষয় কুমার
Advertisement
শেষ আপডেট: 21 April 2025 13:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুম্বইয়ের রিয়েল এস্টেট বাজারে এখন যেন জোয়ার। নতুন মেট্রো রুট, কোলস্টাল রোড, বুলেট ট্রেন করিডোর—সব মিলিয়ে পরিকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়নে শহরের প্রপার্টি ভ্যালু একেবারে আকাশ ছুঁই ছুঁই। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে লোয়ার পারেল, যা এখন মুম্বইয়ের অন্যতম অভিজাত আবাসন ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র।
লোয়ার পারেল: তারকাদের পছন্দের ঠিকানা
ব্যান্ড্রা-কুরলা কমপ্লেক্স (BKC) ও নারিমান পয়েন্টের মতো ব্যবসায়িক হাবের সঙ্গে দুর্দান্ত সংযোগ এবং বিলাসবহুল জীবনের সুযোগ-সুবিধার কারণে লোয়ার পারেল এখন তারকাদের একপ্রকার হটস্পট। এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অভিষেক বচ্চন, শাহিদ কাপুর, লেখক অমীশ ত্রিপাঠি এবং মনোজ বাজপেয়ীর মতো সেলেব্রিটিরা এখানেই প্রপার্টি কিনেছেন।
৮ কোটি টাকায় অফিস বিক্রি করলেন অক্ষয় কুমার
সম্প্রতি এই তালিকায় নতুন সংযোজন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার। তিনি তাঁর লোয়ার পারেলের অফিস স্পেস বিক্রি করেছেন ৮ কোটি টাকায়! এই লেনদেনটি ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে সরকারি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, এমনটাই জানা গেছে। এই অফিসটি ওয়ান লোধ প্যালেসে অবস্থিত, যেখানে মোট ১,১৪৬.৮৮ বর্গফুট (কার্পেট এরিয়া) জায়গা রয়েছে এবং সঙ্গে রয়েছে ২টি গাড়ি পার্কিং স্পেস। বিক্রয়ে স্ট্যাম্প ডিউটি বাবদ ৪৮ লাখ এবং রেজিস্ট্রেশন চার্জ ৩০,০০০ টাকা খরচ হয়েছে। অক্ষয় এই অফিসটি কিনেছিলেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মাত্র ৪.৮৫ কোটি টাকায়। আর এখন সেটি বিক্রি করে পেয়েছেন ৮ কোটি টাকা! অর্থাৎ, মাত্র কয়েক বছরে প্রায় ৬৫% মূল্যবৃদ্ধি—যা নিঃসন্দেহে মুম্বইয়ের রিয়েল এস্টেট বাজারের চাঙা অবস্থার ইঙ্গিত দেয়।
ওয়ান লোধা প্যালেস—বিলাসবহুল বাণিজ্যিক প্রকল্প
এই প্রোজেক্টটি ১.০৮ একর জমিতে তৈরি এবং এখানে ১৭৯ স্কোয়ার ফিট থেকে শুরু করে ২৭,৩৯২ স্কোয়ার ফিট পর্যন্ত অফিস স্পেস রয়েছে। ২০২৪ সালের মে থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে এখানে মোট ৮টি ট্রান্সাকশন হয়েছে, যার মোট মূল্য ৬১৮ কোটি টাকা! এখানে প্রতি স্কোয়ার ফিটের গড় দাম প্রায় ৪৮,০০০ টাকা।
অক্ষয় কুমার: পর্দার বাইরেও একজন সফল বিনিয়োগকারী
অভিনেতা হিসেবে যেমন সফল, তেমনি বুদ্ধিমান বিনিয়োগকারী হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করে চলেছেন অক্ষয় কুমার। জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই তারকা। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন। ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত এই অভিনেতা তাঁর ডিসিপ্লিনড জীবনযাপন, সামাজিক কাজ এবং চিন্তাশীল বিনিয়োগের জন্য আলাদাভাবে প্রশংসিত। তাঁর অফিস স্পেস বিক্রির এই ঘটনা প্রমাণ করে, বলিউডের ‘খিলাড়ি’ শুধু স্ক্রিনে নয়, রিয়েল এস্টেটেও সমান পারদর্শী!
Advertisement
Advertisement