বিমানের কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্দরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন বিক্রান্ত। আজ, একটি পোস্টে সেই দাবি নিয়ে গুজব ওড়ালেন অভিনেতা নিজে।
বিক্রান্ত মাসে-প্রয়াত এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ক্লাইভ কুন্দর
শেষ আপডেট: 13 June 2025 06:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিমান দুর্ঘটনায় আত্মীয় হারানোর খবরকে ভুয়ো বলে জানালেন অভিনেতা বিক্রান্ত মাসে। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্টে এআই-১৭১ (AI-171) বিমানের কো-পাইলট ক্লাইভ কুন্দরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছিলেন বিক্রান্ত। আজ, একটি স্পষ্ট পোস্টে সেই দাবি নিয়ে গুজবের হাওয়া স্পষ্ট করলেন অভিনেতা নিজে।
ইনস্টাগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি লেখেন, ‘ক্লাইভ কুন্দর আমাদের পরিবারিক বন্ধু ছিলেন, উনি আমার ভাই নন। মিডিয়া ও সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ- অনুগ্রহ করে এই বিষয়ে আর জল্পনা না করে আমাদের পরিবারের এই শোকের দিনে শান্তি দিন।’
ক্লাইভ কুন্দর ছিলেন ফার্স্ট অফিসার, রয়েছে ১১০০+ ঘণ্টার উড়ান অভিজ্ঞতা:
AI-171 ফ্লাইটে ক্লাইভ কুন্দর ছিলেন ফার্স্ট অফিসার (সহ-পাইলট)। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ একজন পাইলট, যাঁর ঝুলিতে ১,১০০ ঘণ্টারও বেশি ফ্লাইট অভিজ্ঞতা ছিল। তাঁর সঙ্গে ককপিটে ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল, যিনি একজন লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন এবং যাঁর উড়ান অভিজ্ঞতা ৮,২০০ ঘণ্টার বেশি।
প্রথম পোস্টে ব্যক্তিগত শোকপ্রকাশ করেছিলেন বিক্রান্ত। ১২ জুন সন্ধ্যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের স্টোরিতে বিক্রান্ত লেখেন, “আজ আমদাবাদের সেই ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারালেন, তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের জন্য আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে এটা জেনে যে, আমার কাকা ক্লিফোর্ড কুন্দর তাঁর ছেলে ক্লাইভকে হারালেন। ক্লাইভই ছিলেন সেই বিমানের ফার্স্ট অফিসার।”
তিনি আরও বলেন, “ঈশ্বর যেন ওকে এবং গোটা পরিবারকে এই শোক সহ্য করার শক্তি দেন। সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে রয়েছি।”
এই পোস্ট থেকেই ভুল ব্যাখ্যার সূত্রপাত হয়। তাই পরে অভিনেতা বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন।
১২ জুন দুপুর ১:৩৯ নাগাদ আমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড়ে গ্যাটউইকের পথে রওনা হয়েছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি। তবে মাটি ছাড়ার মিনিট কয়েকের মধ্যেই মেঘানীনগরের একটি সরকারি হাসপাতালের হোস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে বিমানটি। এই ঘটনায় অন্তত ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনাগুলির একটি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। কথাও বলেছেন আহতদের সঙ্গে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গুজরাতে।