শেষ আপডেট: 31st December 2022 11:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি নাট্যকার। তিনি পরিচালক। তিনি অভিনেতা। আবার তিনি মন্ত্রীও। সেই তিনি ব্রাত্য বসু উপন্যাস লিখলেন বাংলা নাটকের দুই প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফি এবং অমৃতলাল বসুকে (Bratya Basu) নিয়ে।
ব্রাত্যর লেখা উপন্যাসটির নাম ‘অদামৃতকথা' (Adamritakatha)। এই উপন্যাসকে অনেকেই বলছেন অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে উনিশ শতকের দ্বিতীয় দশক পর্যন্ত বাংলা নাটক, তার বিবর্তনের দলিল। অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফিকে বাংলার নাট্য জগৎ ‘অদা’ নামেই চেনে। সেই সূত্রেই নামটি ব্যবহার করেছেন ঔপন্যাসিক ব্রাত্য। কারও কারও মতে, ব্রাত্যর লেখা ‘অদামৃতকথা’ নাটকের ইতিহাসের ‘অমৃতকথা’র মতোই।
অর্ধেন্দুশেখর এবং অমৃতলাল দু’জনে সমসাময়িক নাট্যকার-নাট্যাভিনেতা। যাঁরা যাত্রাতেও সমানভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তবে অমৃতলাল বসু নাট্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠলেও তাঁকে এই জগতে টেনে নিয়ে এসেছিলেন দু’জন মানুষ—অর্ধেন্দুশেখর এবং আরএক কিংবদন্তি গিরিশচন্দ্র ঘোষ।
এই দুই নাট্য মহীরুহের পারস্পরিক সম্পর্ক, রসায়ন ইত্যাদি নানান দিক তুলে ধরেছে ব্রাত্যর কলম। সেইসঙ্গে গিরিশবাবুর মতো আরও অনেক নাট্য চরিত্রও সহজাতভাবে এসে গিয়েছেন লেখায়। উপন্যাসে প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে যে ধরনের রসদ দিয়েছেন ব্রাত্য তা যে কোনও গবেষণার কাজকে অনেক সহজ করে দিতে পারে। সেইসঙ্গে এও বাস্তব, এই উপন্যাসের পিছনে ব্রাত্যর গবেষণাও ছিল দীর্ঘ সময়ের।
নাটক বা সিনেমাকে বলা হয় সময়ের দলিল। এই দুই নাট্যকার তাঁদের নাটকে সেই সময়কে ধরেছিলেন। সেইসঙ্গে পৌরাণিক বহু ঘটনাকেও নাট্যরূপ দিয়েছিলেন। সাহিত্য সমালোচকদের অনেকের মতে, ব্রাত্যর এই উপন্যাস সামগ্রিকভাবে বাংলা নাটকের সেকালের দলিল হয়ে উঠেছে।