
ডাইনি বুড়ির হেলদোল নেই কোনও, খ্যাতি পেয়েও খাদে পড়েছিলেন সজল
শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
‘পিত্তি দিয়ে গাঁথব মালা, পচা রজনীগন্ধার,
মিলব যেদিন চারজনেতে আমি, পেদো, কালা, মন্দার … ‘
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখে মুখে ঘুরছে এই সংলাপ। মজনু ডাইনির সংলাপ। একজন ডাইনিকেও যে এমন চর্চার কেন্দ্রে তুলে আনা যায় বাংলা বিনোদনের জগতে, ডাইনির সংলাপও যে মুখে মুখে ফিরতে পারে, তা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের ‘মন্দার’ ওয়েব সিরিজ দেখার আগে বাঙালিরা জানতে পারতেন কি!
শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’-এর নির্যাস নিয়ে তৈরি ‘মন্দার’। মন্দারের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি বলা যায় ম্যাকবেথের তিন ডাইনির বঙ্গ-রূপ। তিন ডাইনি হয়ে গেছে মা মজনু বুড়ি, ছেলে পেদো এবং পোষ্য বেড়াল কালা। মজনু বুড়ি ও তাঁর ছেলে পেদো এই সিরিজের সম্পদ। আর বাংলা অভিনয়ের নতুন সম্পদ এই দুই চরিত্রে অভিনয় করা সজল মণ্ডল ও সুদীপ ধাড়া। সবাইকে ছাপিয়ে যেন দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছেন মজনু ডাইনি সজল ও পেদো সুদীপ।
গেইলপুরের ভাগ্য নির্ধারণ করে ডাইনি বুড়ি মজনু
নোনাসাগরের কোল ঘেঁষে জেলেদের এক মৎস্যনগরী গেইলপুরকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠেছে ‘মন্দার’ ওয়েবসিরিজের পাঁচটি পর্বের গল্প। উইলিয়ম শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথের গল্পকে অনির্বাণ ভট্টাচার্য এনে ফেলেছেন নিম্নবিত্ত উপকূলবর্তী মানুষদের জীবনকাব্যে। আদিম যৌনতা, লোভ, মোহর খেলা যেন এই গল্প। কেউ চায় রাজা হতে, কেউ রাজার পিতা, কেউ চায় সন্তান, কেউ চায় সন্তানের মঙ্গল, কেউ চায় ক্ষমতা। আর এসবের মাঝে গেইলপুরের লোকেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে ডাইনি এক বুড়ি মজনু, তার ন্যাড়া ছেলে পেদো ও তাদের পোষ্য কালো বেড়াল কালা।
পেদো সুদীপ আর মজনু সজল, মন্দারের নক্ষত্র তাঁরা, বাংলা অভিনয়ের সম্পদ
মজনু বুড়ির ভূমিকায় সজল ও পেদোর ভূমিকায় সুদীপ– এই দুই অভিনেতাকে এতদিন সেভাবে মানুষ না চিনলেও, ‘মন্দার’-এর পর এই দুটি চরিত্র সবথেকে আলোচনায়। তবে এই দুই চরিত্রের পেছনে থাকা দুই লড়াকু থিয়েটারশিল্পীর জীবনযুদ্ধের গল্পও কিন্তু কম রোমহর্ষক নয়। এমন দুটি বর্ণময় চরিত্র করতে কোথা থেকে এলেন তাঁরা!
মজনুর আড়ালে বছর চল্লিশের ‘পচাদা’
অভিনেতা সজল মণ্ডল নিজেই জানালেন তাঁর মজনু ডাইনি হয়ে ওঠার কাহিনি। জানালেন, বৃদ্ধা মজনু বুড়ির চরিত্র কেমন করে করলেন বছর চল্লিশের ‘পচাদা’। এই নামেই থিয়েটার মহলে পরিচিত তিনি। একজন পুরুষ হয়েও বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল তাঁর কাছে!
পেদো সুদীপের যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না! জরাজীর্ণ ভাড়াবাড়ি থেকে মন্দারের লাইমলাইট
হাঁটু অবধি সাদা শাড়ি, সাদা-ঘিয়ে মেশানো এলোকেশ, কপাল মাখা লাল সিঁদুর। বিগতযৌবনেও তেজ এতটুকু কমেনি। যেন দশমহাবিদ্যার ধূমাবতী রূপ তাঁর। অথচ সে দেবী নয়, ডাইনি। গেইলপুরের ডাইনি। শেক্সপীয়রের প্রথম ডাইনি চরিত্রের নবতম রূপ মজনু বুড়ি, যাঁর মুখের কথাই যেন গেইলপুরের বাসিন্দাদের নিয়তি নির্ধারণ করে!
‘আকাশ যখন ডাকে, চাতক তাকায়ে থাকে…’
সজল বলছিলেন, “মন্দারে মজনু বুড়ির চরিত্রে অনির্বাণ যে আমাকে ভেবেছে এবং আমার অভিনয় যে এত মানুষের ভাল লাগছে তা আমার পরম প্রাপ্তি। তবে আমি এই চর্চায় উচ্ছ্বসিত নই, কারণ এই রুপোলি জগতের চড়াই-উতরাই আমার দেখা। আজ থেকে কুড়ি বছর আগেও আমি চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও বিজ্ঞাপন জগতের মুখচেনা আর্টিস্ট ছিলাম। সেসব থেকে সরে গেলেও আমি অভিনয় ছাড়িনি। এই জগতে তো লাইমলাইট চিরকাল থাকে না। জীবনযুদ্ধে পোড় খাওয়া মানুষ বলেই আমি খুব একটা ভেসে যাই না। আমি কাজ করে যেতে চাই, দর্শকদের কাজ উপহার দিয়ে যেতে চাই।”
সুন্দরবনের ভূমিপুত্র সজল, আজও আঁকড়ে শিকড়
তবে সজলের অভিনয় জীবন শুরুর কাহিনি এত মসৃণ নয়। শহরের কোনও এলিট পরিবারের সন্তান যে সুযোগ, সুবিধা পেয়ে থাকেন, সজলের কাছে তা ছিল অধরা। তিনি বলছিলেন, “আমি সুন্দরবনের ছেলে। বাসন্তীতে আমার বাড়ি। আমাদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল ছিল না। বাবা, মা বাংলাদেশ থেকে অনেক আগে আসা মানুষ। ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। রাস্তার ধারে বাবা একটা মুদির দোকান করেছিলেন, সেটাই ছিল আমাদের একমাত্র উপার্জনের উৎস। যদিও বাবা ওখানে বাজারের মধ্যে আজ একটা বড় দোকান করেছেন। কিন্তু সে সময়ে এইরকম পরিবারের ছেলে হয়ে, অভিনয় করে, নাটক করে পেট চালানোটা চাপের ব্যাপার ছিল। কিন্তু আমার মা খুব মুক্তমনা মহিলা ছিলেন।”এসবের মধ্যেও অভিনয়ের প্রতি প্যাশনটা তাঁর ছিল ছোট থেকেই। স্কুলজীবনে নিজেরা নাটক করেছেন। ১৯৯৮ সালে সুন্দরবন থেকে মাধ্যমিক পাশ করে কলকাতায় চলে আসেন কাজের খোঁজে। হঠাৎই একদিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটকের কোর্সে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফর্ম তোলেন এবং চান্সও পেয়ে যান। কিন্তু কলকাতা শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার মতো সামর্থ তাঁর ছিল না। তাই বারুইপুরের মল্লিকপুরে বাড়ি ভাড়া নেন। সঙ্গে পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো নানা কাজ করতেন ওই অঞ্চলেই।
কীভাবে এগোল অভিনয় জীবন, বলে চলেন সজল
“রবীন্দ্রভারতীতে জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে পড়তে পড়তেই আমি একটা সিনেমায় অভিনয় করার অফার পেয়েছিলাম। সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইন্সটিটিউটের এডিটিং প্রফেসর শ্যামল কর্মকারের চিলড্রেন রাইটসের উপর ছবি ‘রাণু’র লিড রোল। এই আমার রোলটাই প্রথমে আমির খানকে কাস্টিং করা হয়েছিল, উনি করতেও রাজি ছিলেন কিন্তু কোনও কারণে ডেট দিতে পারেননি। আমি সেই সুযোগটা পাই। ২০০১ সালে ‘রাণু’ ছবিটা পুরস্কৃত ও প্রশংসিত হয়েছিল। ফেস্টিভালেও আসে ছবিটা এবং সংবাদপত্র রিভিউতে আমার নামও বেরোয়। সেসময় বেশ কিছু কাজের অফার পরপর পাই। তখন ইটিভি বাংলা, আকাশ বাংলা এসব চ্যানেলে রাতের টেলিছবি খুব জনপ্রিয় ছিল। সেখানে ‘বিস্ফোরণ’ বলে একটা টেলফিল্মে অভিনয়ও করি।রবীন্দ্রভারতী থেকে টুয়েলভ পাশ করে স্নাতকে ভর্তি হই, তার পর নাটকে এমএ-ও পাশ করি। অন্যদিকে, ২০০২ সাল থেকে থিয়েটারের সঙ্গেও আমি জুড়ে যাই। নাট্যকার শান্তনু বসুর দলে যোগ দিই। থিয়েটার করতে গিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও কাজ করেছি ইন্দো-জার্মান, ইন্দো-আফগান মঞ্চ। সে সময়ে নানারকম কাজের দরজা খুললেও অর্থনেতিক ভাবে তেমন মজবুত হতে পারিনি। অনেক আপস করতে হয়। বিদেশের ডান্স কোরিওগ্রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাই করেছিলাম, কিন্তু এখান থেকে স্কলারশিপ না পাওয়ায় তিন মাস পরে ফিরে আসতে হয়।
এখানে দর্শক গ্রিনরুমে ঢুকে পড়ে, যা কোনও সভ্য দেশে হয় না: অনির্বাণ
এর পর ২০০৮ সালে ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’-তে সুযোগ পাই। ডিজাইন টেকনিক নিয়ে পড়াশোনা করি। ওটা যেন আমার স্বপ্নরাজ্য ছিল। অনুরাধা কাপুর, আদিল হুসেনের মতো শিক্ষকদের পেয়েছি।”
সজলের জুনিয়র ছিলেন অনির্বাণ
তবে এত কিছুর পরেওসুন্দরবনের শিকড় ভোলেননি সজল। পাশ করে ফের সুন্দরবন ফিরে আসেন। সুন্দরবনে প্রথম তিনি ‘ম্যানগ্রোভ থিয়েটার সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করেন ও বনবিবি পালার নির্দেশনা দেন। শুধু তাই নয়, সুন্দরবনে সমাজমূলক কাজেও জড়িত তিনি। আয়লা থেকে আমফান পর্যন্ত বহু কাজ করেছেন। লোকশিল্পীদের সবরকম সাহায্য করি। এছাড়াও মহিলাদের মধ্যে মেনস্ট্রুয়াল সচেতনতা নিয়ে কাজ করেন।এমন বর্ণময় চরিত্রের সঙ্গে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের পরিচয় অবশ্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েই। সেখামে সজলের চেয়ে এক বছরের জুনিয়র ছিলেন অনির্বাণ। সজল জানালেন, অনির্বাণ সেভাবে তাঁর শো না দেখলেও, তিনি যেহেতু নাটকের ক্লাসে ডিরেকশন দিতেন, তাই তাঁর কাজের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন অনির্বাণ। তারপর অনির্বাণ ও তাঁর স্ত্রী মধুরিমা লকডাউনের সময়ে সুন্দরবনে গিয়েছিলেন লোকাল আর্টিস্টদের সাহায্য করতে। তখন পরিচয় আরও গাঢ় হয়।
‘পচাদা তুমি নিজের মতো করো।’
সজল বললেন, “এর পরে অনির্বাণ যখন মন্দারের ডাইনি বৃদ্ধার চরিত্র আমাকে করতে বলল, সেটা করতে গিয়ে আমি আমার পর্যবেক্ষণগুলো কাজে লাগালাম। ট্রেনে আমি অনেক নিম্নবিত্ত বৃদ্ধাদের দেখেছি যারা দেখতে অনেকটা পুরুষ প্রকৃতির হয়ে যান বয়সকালে। এখানেও মেক আপ আর্টিস্ট সোমনাথদা ও তাঁর সহকারীরা আমায় সেভাবেই সাজিয়েছেন। একজন বৃদ্ধার সে অর্থে ভরা স্তন থাকে না, তাই এখানেও সেটা নেই। আর আমার মুখে প্রস্থেটিক মেক আপের ব্যবহার হয়েছে। অনির্বাণ দেখে বলল ‘বাহ ঠিক আছে সজলদা!’কণ্ঠস্বর, শব্দোচ্চারণ নাটকের মতো করেই করেছি। ফুলসজ্জার স্বপ্নদৃশ্যটা অনির্বাণ বলেছিল, ‘পচাদা তুমি নিজের মতো করো।’ তাই করেছি। শাড়ি পরে যে অভিনয় করেছি, সেটা এই ভেবেই করেছি যে একজন থিয়েটার আর্টিস্টকে সবরকমের রোল করতে হয়। যেভাবে মজনু বুড়িতে অনির্বাণ আমাকে কাস্টিং করেছে সেটা আমার সৌভাগ্য। কিন্তু পরবর্তীকালে অন্য পরিচালকরা কি আমাকে সেভাবে ব্যবহার করবেন? জানি না।”
উচ্ছ্বাস সাময়িক, ভুলে যেতে সময় লাগে না ইন্ডাস্ট্রির
এই অভিযোগ, আক্ষেপের কারণ আছে বৈকী। মন্দারের লাইমলাইটে হয়তো সেসব সাময়িক ভাবে ঢেকে যাবে। কিন্তু জীবনযুদ্ধের কাণ্ডারী সজল অভিজ্ঞতা থেকে ভালই জানেন, উচ্ছ্বাস আদতেই সাময়িক। বলছিলেন, “একবার খ্যাতির শীর্ষে উঠে, সেলেব্রিটি হয়েও, একটা সময় ইন্ডাস্ট্রি থেকে আমায় দূরে সরে যেতে হয় বা সরিয়ে দেওয়া হয়। এগুলো আমি ফেস করেছি। তাই লোক জানিয়ে সাফল্য উদযাপন করতে ইচ্ছে হয় না। নিজের কাজে নিজেকে মনযোগী রাখি।”
থিয়েটারকে কেউ ডমিনেট করতে পারে না: অনির্বাণ ভট্টাচার্য
কলকাতার সমালোচক মহল নিয়েও ক্ষোভ আছে তাঁর। বললেন, “কলকাতায় সবাই যা দেখে, সেটাই বলে খুব ভাল বলে গণ্য হয়। কেউ সমালোচনা করতে চায় না। সব পরিচালক, অভিনেতা সমালোচনা নিতেও পারেন না। কিন্তু ক্রিটিসাইজ করলে তো সৃষ্টিটা আরও সুন্দর হবে! আমার ওপরওয়ালা আমাকে সেই চোখটা দিয়েছেন। অনেকে ভাবে আমি নাক উঁচু, আমি সব কাজ করি না। হ্যাঁ, এ কথা সত্যি, যে আমি আমার কাজের ব্যাপারে সচেতন। তাই বেছে কাজ করি। হয়তো আগামী দিনে আমাকে বেশি নাও দেখা যেতে পারে। নিজেও কারও কাছে যাইনি এতদিন, ‘কাজ দাও কাজ দাও’ বলে। যে ক’জন ডেকেছেন, ভাল লাগলে কাজ করেছি।”
ভালবাসা, ভরসা থেকেই ডেকেছেন অনির্বাণ
কাজের স্বাধীনতা আর কনটেন্টের উৎকর্ষও একটা নির্মাণকে আরও নিখুঁত করে তোলে বলে বিশ্বাস করেন সজল। তিনি বলেন, “সত্যি কথা বলতে, অভিনয় করার স্বাধীনতা সব হাউস দেয় না, এখানে যেমন অনির্বাণ দিয়েছে আমায়। স্ক্রিপ্ট, চিত্রনাট্য যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে সব কাজই ভাল হয়। প্রতীক আর অনির্বাণ দুজনে স্ক্রিপ্ট করেছে মন্দারের। আর একজন আমাদের সহযোগিতা করেছে, দারুণ ছেলে, অরিত্রপ্রতিম। সবাই রবীন্দ্রভারতীর ছেলে।
সবাই আমাকে পচাদা বলে চেনে। একটু ভালবাসা, ভরসা থেকেই অনির্বাণ বোধহয় মনে করেছে এই ডাইনির রোলে পচাদাকেই চাই, পচাদাকে দিয়েই করাব। আমি না হয়ে এখানে অন্য কেউ করলে সে পঞ্চাশ শতাংশ উতরে যেত অনির্বাণের চিত্রনাট্য পরিচালনা আর সোমনাথ কুণ্ডুর মেক আপে। আর বাকি পঞ্চাশ শতাংশ তাকে নিজেকে জয় করতে হত।”সত্যি কথা বলতে, মন্দারের মাধ্যমে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও খুব উচ্ছ্বসিত হতে পারেন না সজল। বলছিলেন সে কথাই। ২০০২-০৩ সালে বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিত সেনের সঙ্গে বহু কাজ করেছেন তিনি। সে সময় তিনিও সেলেব্রিটি ছিলেন, টিভি খুললে তাঁকে দেখা যেত। অভিনেতা ভোলা তামাং আর তিনি বম্বেও গেছিলেন, ‘পার্লে চয়েস মারি’ বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে। মটন মশা মারার ধূপ, তুমি ক্যান্ডি– অনেক বিজ্ঞাপন ছিল তখন তাঁর। সে সময় অভীক মুখার্জীর পরিচালনায় ঋতুপর্ণ ঘোষ দুর্গাপুজো নিয়ে একটা তথ্যচিত্র করেন, সেই ছবিতেও তিনি অভিনয় করেন। লাহা বাড়িতে শ্যুট হয়। তবে অনেক কাজ করেও প্রচারের আলো পাননি। ‘মন্দার’-এর পরে কী হয়, সেটাই দেখার।