শেষ আপডেট: 24th January 2025 21:57
চন্দন সেনের বিস্তৃতির সীমা নেই। তাঁর অভিনয়ের পরিসর সীমাহীন। অঞ্জন দত্ত থেকে প্রভাত রায়। অপর্ণা সেন থেকে ঋতুপর্ণ ঘোষ। নাটক, সিরিয়াল কিংবা ছবি যেখানেই তিনি, ঠিক তাতে তাঁর ছাপ থেকেই যাবে।
আজ হঠাৎ করেই ‘মানিকবাবুর মেঘ’-এ তাঁর অভিনয়ের কদর সমাদৃত হচ্ছে। হওয়ার কথাই কি ছিল না? দীর্ঘমেয়াদী এই অভিনয়জীবনের নিঁখুত আদবকায়দাগুলো কি আদৌ শুধু একটিমাত্র ছবির সাফল্যে মাপা যায়? কিংবা এত পরে কেন? এই যে এত পুরস্কার, অ্যাওয়ার্ড এল ‘মানিক’ হওয়ার পরেই? দুপুরের এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি তাঁর সামনে রাখা হল এই প্রশ্ন।
গোটা প্রশ্নটা শুনতে-শুনতে তিনি হাসছিলেন। সম্মতির হাসি কি? তা বোঝা না গেলেও উত্তরে পরিস্কার হল খানিকটা। চন্দনবাবু বললেন, ‘আন্তরিকভাবে সৌমিত্রদার একটি কথা খুব বিশ্বাস করি, বহুদিন আগে তিনি এটা বলেছিলেন। পুরস্কারের অর্থই সতর্কতা। তুমি এই অবধি যা করেছ তা ভাল, আরও শেখোটেখো। আমি এটা বিশ্বাস করি। স্বীকৃতি একটা ওয়ার্নিং।’
কথার পিঠে কথা বসেই বলা হল, ‘জীবনকৃতি পুরস্কার কি তাহলে শেষ ওয়ার্নিং?’ এক গাল হেসে বললেন, ‘এ নিয়ে উৎপলবাবু বলেছিলেন, একটি শোয়ের পর, আমিও তাতে অভিনয় করেছিলাম, এক অনুজ দল থেকে পুরস্কার পাওয়া মানে অনেক হয়েছে এবার কেটে পড়ুন। কিন্তু আমি আপনাদের জানাতে বাধ্য হচ্ছি আরও কিছুদিন আপনাদের জ্বালাব!’
ঠিক এমনই কথা বলতে বলতে বললেন, ‘রবি ঘোষের মৃত্যু আমার কাছে স্বপ্নের মৃত্যু। অমন এক কিংবদন্তী পরিচালকের ছবিতে মেকআপ করে পাঠ করতে-করতে মারা গেলেন।’ চন্দন সেন ফিরে এলেন ‘মানিকবাবুর মেঘ’ প্রসঙ্গে, বললেন, ‘এতদিন আমার গুরুরা যা-যা বলে এসেছেন, শিখিয়েছেন। এই ছবি আমার কাছে সে সব পাঠের কালমিনেশনের চ্যালেঞ্জ! অভিনেতার অনুচ্চারিত সংলাপ কত জোরদার ভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে পারছে, সেটাই একজন অভিনেতার চ্যালেঞ্জ। এই সিনেমা আমাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। তিনবার ছবিটা দেখেছি, এখনও দেখলে মনে হয়, ইস এই জায়গাটা আরও একটু অন্যভাবে করলে ভাল হতো।’