শেষ আপডেট: 28th September 2024 18:55
সেলেব্রিটিরা বেশ ভয়েই আছেন! সেটা কিন্তু ক্রমাগত বাড়ছে! হ্যাশট্যাগ 'মিটু' কাঁটার মতো বিঁধে আছে কারও কারও নামের পাশে! অনেকে তাই নিজেদেরকে এসব 'হাতছানি' দূরে রাখার পথ ধরছেন। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, অচেনা কোনও মহিলার সঙ্গে এক লিফটে উঠলেও এক কোণে সিঁটিয়ে যাচ্ছেন টালিগঞ্জের তাবড় সেলেবরা। হ্যাশট্যাগের কাঁটা যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশে।
প্রায় দিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক হেনস্থার ঘটনা তুলে ধরছেন টলিপাড়ার তারকারা। কখনও সহকর্মী, কখনও পরিচালক আবার কখনও নামজাদা প্রযোজক। বিস্তর অভিযোগ উঠছে, কাজ পাওয়ায় আশায় 'নানারকম' হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ফের চাগাড় দিতে শুরু হয়েছে হ্যাশট্যাগ 'মিটু'।
তবে শুধুই যে অভিনেত্রীদের এমন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তা বললে বোধহয় ভুল হবে। পুরুষ কলাকুশলীরাও কি 'সেফ ফিল' করছেন? টলিপাড়ার অন্দরের এমনই সব প্রশ্ন নিয়ে দ্য ওয়াল যোগাযোগ করেছিল বাংলা চলচ্চিত্র জগতের প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা তথা সঞ্চালক বিশ্বনাথ বসু-র সঙ্গে। সব প্রশ্নের অকপট জবাব দিলেন অভিনেতা।
দ্য ওয়ালকে বিশ্বনাথ স্পষ্ট জানালেন, এমন কোনও মহিলা সহকর্মীর সঙ্গে আগের মতো মজা করতে পারি না। ভয় হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যদি হ্যাশট্যাগ মিটুতে পরের দিন নিজের নাম দেখতে পাই। সেই ভয়টা ক্রমশ কাজ করে।
ভয়টা ঠিক কেমন? প্রশ্ন শুনেই তিনি বলতে থাকেন, 'আগে মহিলা সহকর্মীদের সঙ্গে কত মজা করে কাজ করতে পারতাম। এখন মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। বুঝতে পারি না কী ভাববে। পিঠ চাপড়ে গল্পও করতে পারি না। যদি কিছু মনে করে।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের প্রসঙ্গ উঠতেই বিশ্বনাথ বলেন, 'আসলে এখন যে কোনও ব্যক্তির সম্পর্কে খুব সহজে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে ফেলা যায়। এমনটা মহিলাদের ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ দেখা যায়। কিন্তু আমি মনে করি পুরুষদেরও মিটু থাকা উচিত। কারণ আমরাও প্রতিনিয়ত অনেক হেনস্থার মধ্যে দিয়ে যাই। সেগুলো তুলে ধরা হয় না। আমি পারি না। কিন্তু বাকিরা করেন না কেন?'