Latest News

Abhishek Chatterjee Death: ‘যা খাচ্ছিলেন বমি হচ্ছিল, আমরাই গাড়িতে তুলে দিই’

দ্য ওয়াল ব্যুরো: চোখের সামনে দেখলাম কীভাবে মৃত্যু একটা মানুষকে ধীরে ধীরে গ্রাস করল।বুধবার রাতে আমাদের সঙ্গেই শ্যুটিং সেটে ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee Death)। আগের দিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। গতকাল প্রচণ্ড শরীর খারাপ হয়ে গেছিল। পেট খারাপ ছিল, যা খাচ্ছিলেন বমি হয়ে যাচ্ছিল, বললেন টেলি দুনিয়ার আরও এক জনপ্রিয় তারকা জিতু কমল।

জিতু কমল ও নবনীতা দাসের সঙ্গেই গতকাল রাতে শেষবারের মতো শ্যুটিং করেছেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বড় পর্দার পরে টেলি দুনিয়াতেই গত কয়েক বছর ধরে তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বুধবার সন্ধেয় এক রিয়্যালিটি শো-এর শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিষেক। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর মাত্র ঘণ্টাখানেক বেঁচে ছিলেন। রাত দেড়টা নাগাদ সব শেষ। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান অভিনেতা ভরত কল।

জিতু বললেন, শেষ সময়টা আমাদের সঙ্গেই ছিলেন মিঠু দা। তাঁর মতো অভিনেতার কাজ নিয়ে কিছু বলা সাজে না। তবে ভীষণই ভাল একজন মানুষ ছিলেন। সকলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল। গতকাল শ্যুটিং ফ্লোরেই বেশ ক্লান্ত, বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল তাঁকে। আগের দিন থেকেই শরীর খারাপ ছিল। অসুস্থতা নিয়েই শ্যুটিং করছিলেন। পেট খারাপ হয়ে গেছিল। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। যা খাচ্ছিলেন বমি হয়ে যাচ্ছিল। জল খেলেও বমি করছিলেন।

সোফায় তাঁকে ধরে ধরে বসানো হয়। তখন দেখলাম চোখ দুটো একবার খুললেন, আবার বন্ধ করলেন। চাইতেও পারছিলেন না। তখনও কেউ বুঝিনি এত বড় অঘটন ঘটে যাবে। চোখের সামনে দেখলাম কীভাবে মৃত্যু ধীরে ধীরে গ্রাস করল একটা মানুষকে।

জিতু বললেন, আমরাই ধরে ধরে নিয়ে যাই গাড়িতে। বৌদি সংযুক্তা খুবই টেনশনে ছিলেন। কান্নাকাটিও করছিলেন। আগে যদি বোঝা যেত এমন হতে চলেছে তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করা হত। তবে আমরা বলেওছিলাম হাসপাতালে পৌঁছে দিতে। কিন্তু মিঠু দা শোনেননি। উনি বাড়ি যেতে চাইছিলেন। বাড়ি যাওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সব শেষ।

বমি, পেট খারাপের পরেই যে মৃত্যু হবে তা কল্পনারও বাইরে ছিল, বললেন টেলি অভিনেত্রী নবনীতা দাস। দ্য ওয়ালকে তিনি জানালেন, গতকাল রাতে শ্যুটিং সেটেই প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিষেক। জল খাওয়ার পরেও বমি করে দিচ্ছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়ত ভাল হত। বাঁচানো যেত মানুষটাকে।

You might also like