শেষ আপডেট: 11th March 2024 13:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমির খানকে ইন্ড্রাস্ট্রির সকলে 'মিস্টার পারফেকশনিস্ট' হিসেবেই চেনে। কারণ কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা। অভিনয় থেকে প্রোডাকশন, কোনটায় ফাঁক রাখেন না আমির খান। দক্ষ হাতে সবটা সামলান। যদিও বলিউড কিন্তু তাঁর পছন্দের তালিকায় ছিল না। বরং তিনি ভেবেছিলেন কোনওদিনও তিনি হিন্দি ছবিতে কাজ করবেন না।
মাত্র আট বছর বয়সে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করেন। ১৯৭৩-এ কাকা নাসির হোসেনের সিনেমা 'ইয়াদো কি বারাত'-এ প্রথম চাইল্ড অ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেন। তারপর ধীরে ধীরে সহ পরিচালক থেকে অভিনেতা! পথটা সহজ হলেও এটা 'পারফেকশনিস্ট'-এর প্ল্যানে ছিল না।
রেডিটে একজন ইউজার আমির খানের একটি সাক্ষাৎকার শেয়ার করেন। সেখানেই জানা যায় আমিরের মনের কথা। তিনি জানিয়েছেন, 'ছোটবেলায় আমি লাজুক আর বোকা ছিলাম। তাই আমি কোনওদিন ভাবিইনি যে অভিনেতা হব। আর আমার ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড যেন আমাকে আরও ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিল। আমার বাবা ছিলেন প্রযোজক। কিন্তু ছবির কাজ শেষ করার জন্য তাঁকে রোজ অভিনেতা ও পরিচালকদের পেছনে ছুটতে হত। এইগুলো দেখে এতটাই বিরক্ত লাগত যে ভেবেছিলাম আর যাই হোক কোনওদিন প্রডিউসর হব না।'
তাহলে তাঁর মন বদল হল কীভাবে, প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতা হওয়াটা তাঁর কাছে দুর্ঘটনার মতো। 'আমি যখন ১২ ক্লাসে পড়ি, তখন আদিত্য ভট্টাচার্য আমার কাছে আসেন একটি শর্ট ফিল্ম নিয়ে। তিনি জানান যে সিনেমাটি তিনি ফেস্টিভ্যালে দিতে চান। আমি বেশি কিছু না ভেবেই হ্যাঁ বলে দিই। কেন জানি না ফিল্মটাকে ফেস্টিভ্যালে পাঠানোর জার্নিটা আমার বেশ ভালো লাগতে শুরু করে। সেটা করতে করতেই আমি কনফিডেন্স পাই। বুঝতে শুরু করি যে, আমিও অভিনয় করতে পারি।'
শর্ট ফিল্মে অভিনয় করা নিয়ে কোনও সমস্যা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে আমির বলেন, 'বাড়িতে এটা নিয়ে কোনও সমস্যাই হয়নি। আমি অভিনয় করব শুনে সবাই খুশি হয়েছিল। কিন্তু আমার কেন জানি না মনে হচ্ছিল অভিনেতা হওয়াটা খুব একটা সঠিক সিদ্ধান্ত না। কিন্তু স্কুল শেষের পর আমি কাকা অর্থাৎ পরিচালক নাসির হোসেনের সহ পরিচালক হিসেবে কাজ করতে শুরু করি। কিছু তথ্যচিত্রে কাজ করি। তখন পরিচালক কেতন মেহতা আমাকে দেখেন আর 'হোলি' ছবিতে অভিনয়ের জন্য বলেন।' তারপরের গল্পটা সবারই জানা।
সম্প্রতি অভিনেতা 'সিতারে জমিন পর' সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত। চলতি বছরের ক্রিসমাসের মুক্তি পেতে চলেছে 'তারে জমিন পর'-এর এই সিকুয়েল।