শেষ আপডেট: 13th March 2025 17:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে, বলিউডের আধিপত্য ছিল। বিরাট বাজেট, বড় ব্যবসা এবং তার সঙ্গে তুমুল বক্স অফিস কালেকশন। যা অন্যান্য যে কোনও ইন্ডাস্ট্রির তুলনায় স্বাভাবিকভাবে কম ছিল। দক্ষিণ ভারতের ছবিগুলোর চাহিদা দক্ষিণীেই সীমিত থাকত। তার প্রভাব উত্তর ভারতে ছিল না। কিন্তু আজ এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। পরিস্থিতি বদলেছে। আজ, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, সমগ্র দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলছে। এবং বলিউড, প্রতিনিয়ত দক্ষিণী ছবির সঙ্গে এক অদৃশ্য যুদ্ধ লড়ে চলেছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে, কিংবদন্তি লেখক ও গীতিকার জাভেদ আখতার, এবং মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে দেখা যায়। জাভেদ, আমিরকে একটি প্রশ্ন করেন, দক্ষিণী নায়করা যাঁরা এক সময়ে উত্তর ভারতের কাছে একেবারেই অপরিচিত ছিল, আজ তাঁরা কীভাবে কয়েকশো কোটি টাকা আয় করছে, আর বলিউডের একাধিক ছবি পিছিয়ে পড়ছে? এই পরিবর্তনের কারণ ঠিক কী?
আমির ছবিকেন্দ্রিক এই আঞ্চলিক বিভাজনকে উড়িয়ে দেন, তিনি বলেন একটি ছবি কোথায় তৈরি হচ্ছে তা একেবারেই বিবেচ্য নয়। পরিবর্তে, তিনি বলিউডের এই স্ট্রাগলের মূল কারণ হিসেবে OTT প্ল্যাটফর্মের প্রভাবকেই তুলে ধরেন। বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহে এসে আমাদের ছবি দেখার জন্য আমরা দর্শকদের অনুরোধ করি, কিন্তু যদি তাঁরা না দেখেন, তাহলে ছবি মুক্তির মাত্র আট সপ্তাহ পরেই ওটিটিতে দেখিয়ে দিই। যাঁদের ওটিটি সাবস্ক্রিপশন আছে, তাঁরা ভেবেই নেয় ঘরে বসেই সিনেমা দেখব। আমি আদপে জানিই না কীভাবে একই পণ্য দু‘বার বিক্রি করতে হয়।’
আমির এও মনে করিয়ে দেন যে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আসার আগে, দর্শকদের সিনেমাহল, যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু এখন, যদি কোনও ছবি সত্যিই তাঁদের পছন্দের না হয়ে ওঠে, তাহলে তাঁরা ডিজিটাল মুক্তির অপেক্ষায় থাকেন।
তিনি বলেন, যে বলিউড এই ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে না বুঝে নিজেদেরই ক্ষতি করছে। আরও বলেন, হিন্দি চলচ্চিত্র নির্মাতারা, আধুনিকীকরণের তাড়ায়, সিনেমার সঙ্গে জুড়ে থাকা আবেগের সমস্ত উপাদান ভুলে গিয়েছেন যা এক সময়ে তাঁদের দর্শকদের সঙ্গে যোগস্থাপন করেছিল। ‘আমরা আবেগকে ব্যবহার করতে ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের জীবনের বিভিন্ন দিক স্পর্শ করতে হবে, এবং আমাদের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে,’ বলেন আমির।