ধৃত শরিফুল এবং সইফ আলি খান
শেষ আপডেট: 26th January 2025 15:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শরিফুল ইসলাম এখন প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে। তিনিই নাকি সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন। বছর একত্রিশের ওই অভিযুক্ত আদতে বাংলাদেশের নাগরিক, সেটা তদন্ত করে জানতে পেরেছে মুম্বই পুলিশ।
তবে এখন বেশ খানিকটা ধন্দে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এ কথা বলার কারণ, ধৃত শরিফুলের আঙুলের ছাপের সঙ্গে সইফ আলি খানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের মধ্যে কোনও মিলই নেই।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে সে রাতে সইফের বান্দ্রার আবাসনে ঢুকে পড়া ব্যক্তি কি তাহলে আদৌ শরিফুল? শরিফুলের বাবাও বাংলাদেশ থেকে দাবি করেছেন, পুলিশের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর ছেলে শরিফুল নন। বাংলাদেশ সরকারেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেই আবহেই এবার সইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপও মিলল না।
ধৃত শরিফুল ইসলামের ১০টি আঙুলের ছাপ পাঠানো হয়েছিল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। মহারাষ্ট্র সিআইডি-র ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে নাকি শরিফুলের সঙ্গে সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া নমুনার একটিও মিলছে না।
১৬ জানুয়ারি রাতে হামলা হয় সইফ আলি খানের বাসভবনে। ছুরি নিয়ে আক্রমণ চালানো হয় অভিনেতার ওপর। যে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়, তার একটা অংশ সইফের শরীরের ভিতরেই আটকেছিল। তার বাকি অংশের খোঁজ মেলে বান্দ্রার কাছের একটি নালা থেকে। তদন্তে নেমে গত ১৮ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার সদস্যরা ঠাণে এলাকার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করে শরিফুলকে। অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণের সময় উদ্ধার হয়েছিল ছুরির ওই বাকি অংশটি।
অন্যদিকে, কোথা থেকে শরিফুল সিম কিনেছিলেন, কারা সাহায্য় করেছিলেন, সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কলকাতায় এসেছে মুম্বই পুলিশ। আগামী কয়েকদিন তারা কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায় তদন্ত করে দেখবে বলে খবর।