শেষ আপডেট: 1st February 2025 17:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহাকুম্ভে সন্ন্যাস নেওয়ার পর থেকেই চর্চায় রয়েছেন এক সময়ের বহুচর্চিত বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ঘটনা হল মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই কিন্নড় আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
কিন্নড় আখড়ার প্রতিষ্ঠাতা ঋষি অজয় দাস তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকার অভিযোগ তুলেছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মমতা একা নন, তাঁর সঙ্গে বহিষ্কার করা হয়েছে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীকেও।
ঋষি অজয় দাসের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই মমতাকে আখড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এমনকী, তাঁর অজান্তেই মমতাকে মহামণ্ডলেশ্বর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। যা আখড়ার নিয়মভঙ্গ করা হয়েছে।
ঠিক কী কী কারণ দেখিয়ে মমতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে?
মমতা কুলকার্নি বরাবর বলিউড সিনেমায় তাঁর বোল্ডনেস-এর জন্য চর্চায় থাকতেন। নয়ের দশকে তাঁর টপলেস ফটোশুট সাড়া ফেলে দিয়েছিল জনগনের মধ্যে। আখড়ার অন্যান্য সদস্যরা অভিনেত্রীর এই ধরনের আচরণকে একেবারেই ভাল ভাবে দেখেননি।
আরও এক কারণ, বলিপাড়া ছেড়ে মাদকচক্রে অভিযুক্ত ভিকি গোস্বামীকে বিয়ে করেন মমতা। বিয়ের পর দুবাইয়েই থাকতেন তিনি। এর পরই মাদককাণ্ডে যুক্ত থাকায় মমতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোওয়ানাও জারি হয়েছিল।
আখড়ার নিয়মই রয়েছে প্রত্যেক সন্ন্যাসীকে মাথা নেঁড়া করতে হয়। কিন্তু মমতা কুলকার্নি মাথা নেঁড়া করতে রাজি হননি। অর্থাৎ সন্ন্যাসিনী হওয়ার যে প্রাথমিক শর্ত সেটাই পালন করেননি মমতা।
শুধু তাই নয়, সন্ন্যাস নিয়ে মমতা গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্নড় আখড়ার নিয়ম অনুযায়ী, মমতাকে বৈজয়ন্তী মালা পরতে হত গলায়।
গত ২৪ জানুয়ারি কিন্নর আখড়ায় সেখানকার মহামন্ডলেশ্বর আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণের সঙ্গে দেখা করেন মমতা কুলকার্নি। তাঁর হাত ধরেই জীবনের আধ্যাত্মিক ইনিংস শুরু করেন সলমন-শাহরুখের অভিনেত্রী। পরনে গেরুয়া পোশাক, গলায় রুদ্রাক্ষের মালা, কপালে গেরুয়া তিলক পরে সন্ন্যাসিনীর বেশে মমতার ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়।