নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছেও মনটা একেবারেই তরতাজা। ধর্মেন্দ্রর জীবনের রঙ আজও ফিকে হয়নি। সময়ের সঙ্গে বয়স বেড়েছে ঠিকই, তবে ভালবাসার রং বা রোম্যান্সের আবেগ এতটুকু ম্লান হয়নি তাঁর মনে।
ধর্মেন্দ্র ও শাবানা আজমি
শেষ আপডেট: 14 June 2025 13:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছেও মনটা একেবারেই তরতাজা। ধর্মেন্দ্রর জীবনের রঙ আজও ফিকে হয়নি। সময়ের সঙ্গে বয়স বেড়েছে ঠিকই, তবে ভালবাসার রং বা রোম্যান্সের আবেগ এতটুকু ম্লান হয়নি তাঁর মনে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি সেই কথাই স্পষ্ট করে জানালেন। ‘রকি ও রানি কি প্রেম কাহিনি’-র একটি দৃশ্য নিয়ে চর্চা শুরু হলে হাসতে হাসতেই নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
শাবানা আজমির সঙ্গে পর্দায় চুম্বনের দৃশ্য ছিল ‘রকি ও রানি...’-তে। তা নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় দর্শক ও সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই নিয়েই প্রশ্ন করা হলে ANI-কে ধর্মেন্দ্র বলেন, “রোম্যান্সের তো কোনও বয়স হয় না! আমি তো রণবীরকে বলেছিলাম— তুই তো এত কিস সিন করিস পর্দায়, দেখ, আমি একটা করেই বাজিমাত করে দিলাম! এটাই তো আমার ম্যাজিক।”
ধর্মেন্দ্রর মতে, সিনেমার সেই মুহূর্ত ছিল নিছক কোনও চমক নয়, বরং একটা আবেগের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, “আমার চরিত্রটা অনেকটা দেবদাসের মতো। যে মানুষটা তার প্রেমকে হারিয়ে ফেলে, তাকে বছর পর আবার চোখের সামনে দেখে— তখন তো আবেগ আর আটকে রাখা যায় না। সেটাই তো প্রেম, সেটাই তো জীবন।”
রণবীর সিং এবং আলিয়া ভাট অভিনীত এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০২৩ সালে। এক ধনী পাঞ্জাবি পরিবার ও এক উচ্চমধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ এবং প্রেমের লড়াই নিয়েই ছবির কাহিনি। ধর্মেন্দ্র, শাবানা আজমি, জয়া বচ্চন, টোটা রায়চৌধুরী-সহ ছবির কাস্ট ছিল বড় আকর্ষণ। তবে দর্শক সবচেয়ে বেশি যে মুহূর্তে চমকে গিয়েছিলেন, তা নিঃসন্দেহে ছিল ধর্মেন্দ্র-শাবানার সেই ‘চুম্বনের’ দৃশ্য।