শেষ আপডেট: 12th July 2024 14:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বেসরকারি বিএড কলেজগুলি পরিকাঠামো এবং শিক্ষকের অভাবে ছাত্র ভর্তির অনুমতি পেতে হোঁচট খাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। এর মধ্যেই সামনে এল, নিয়মিত ক্লাস না করেও বিএড পরীক্ষায় বসতে পারবেন শিক্ষকরা। মাত্র ৫০ শতাংশ হাজিরাই যথেষ্ট, এমনকি প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের ক্ষেত্রেও। বাকি ৫০ শতাংশের ক্ষতি পূরণ করার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা দিলেই হবে।
আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, শিক্ষাদানের উৎকর্ষ তাহলে কোথায় নিশ্চিত হচ্ছে! সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএড কোর্সের থিওরিতে ৮০ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হাজিরা থাকলেই ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে পরীক্ষায় বসা যাবে। প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের ক্ষেত্রেও তাই।
এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা রাজ্যের বিএড কোর্স তথা কলেজগুলিকে একটা স্থিতিশীলতার মধ্যে আনার চেষ্টা করছি, ধাপে ধাপে। ভবিষ্যতে এই নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া হবে। এখন হাজিরার বিষয়টি এক্সাম কমিটি ঠিক করে।’
শিক্ষক মহলের অভিযোগ, এভাবেই ক্লাসে ফাঁকি দিয়ে বিএড সার্টিফিকেট নিয়ে বেরোচ্ছেন প্রচুর ছাত্রছাত্রী। তাঁদের অনেকেই শিক্ষকতার চাকরিও জুটিয়ে ফেলেছেন। অথচ সিলেবাসের চরিত্র এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতি প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে, এখন তা আগের থেকে আলাদা অনেকটাই। সেই বিষয়গুলিই বিএড কোর্সে শিখে আসেন ছাত্রছাত্রীরা। কারণ কেউ নিজের পড়াশোনায় খুব ভাল হলেও ছোট ছেলেমেয়েদের পড়া বোঝাতে পারেন না।
শুধু তো পড়া বোঝানো নয়, একজন শিক্ষকের দায়িত্ব পড়ুয়াদের শিখতে আগ্রহী করে তোলা, দুর্বল পড়ুয়াদের সাহায্য করা। সেগুলিই পড়ানো হয় বিএডে। তাই বিএড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাও সাধারণ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। তাই প্রশ্ন উঠেছ, এই বিএড কোর্স করতে গিয়ে যদি কামাই-ই হয়ে যায় পড়ুয়াদের, তাহলে তাঁরা আর কী পড়াবেন ছোটদের!
জানা গেছে, এখানে প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ডিসেম্বরে। কিন্তু তা ২৩-৩০ জুলাই হবে। কারণ, আদালতের নির্দেশে, পরে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করার সুযোগ দেওয়ার জন্যই বাড়তি সময় দিতে হয়েছে। কিন্তু ক্লাস করার বাধ্যবাধকতা উড়িয়ে, সুযোগ দেওয়া হয়েছে জরিমানা দিয়ে সুযোগ পাওয়ার।