ক্রিজে যে তখনও রয়েছেন এইডেন মার্করাম। বলতে গেলে এই দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনারই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স ব্রিগেডের থেকে। মার্করাম ১৩৬ রান করে আউট হলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি প্রোটিয়াদের।
দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ আপডেট: 14 June 2025 12:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবশেষে ঘুচল চোকার্স বদনাম। আইসিসি ট্রফি (ICC Trophy) এল দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa)। বিশেষজ্ঞদের সব ধারনা পাল্টে দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন তেম্বা বাভুমা ব্রিগেড। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা পাঁচ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়াকে।
২০২৫ সালে ক্রীড়াবিশ্ব বেশ কিছু নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল। চলতি বছরই প্রথম আইপিএল খেতাব জিতেছে আরসিবি। এই বছরেই পিএসজির ক্যাবিনেটে স্থান করে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। টটেনহ্যাম জিতেছে তাদের প্রথম খেতাব। এবার দক্ষিণ আফ্রিকাও জিতে নিল আইসিসির বড় মঞ্চের খেতাব।
দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটারদের প্রতিভা নিয়ে কোনও দিনই সংশয় ছিল না। কিন্তু তারা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ছাড়া আর কোনও আইসিসি ইভেন্ট জিততে পারেনি। এবার সেটা করে দেখাল প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা যে জিততে চলেছে তা তৃতীয় দিনই মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। জয় শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা। তৃতীয় দিনের শেষে জয়ের জন্য বাভুমাদের দরকার ছিল ৬৯ রান। হাতে ছিল আট উইকেট। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও হাফসেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক বাভুমা। পায়ে চোট, দৌড়তে পারছেন না। কিন্তু স্টার্কের বাউন্সারগুলি আলতো হাতে পুল করে দিচ্ছিলেন, কখনও বা কামিন্সের সুইংকে ব্যাটের মাঝখান দিয়ে নামিয়ে দিলেন মাটিতে।
শনিবার অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। কামিন্সের বলে আউট হয়ে যাওয়ার আগে করে যান ৬৬ রান। দলের জিততে তখনও প্রয়োজন ৪১ রান। অজি শিবির তখন যেন জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছে। ত্রিস্তান স্টাবসও ফিরে যান মাত্র ৮ রান করে। কিন্তু ক্রিজে যে তখনও রয়েছেন এইডেন মার্করাম। বলতে গেলে এই দক্ষিণ আফ্রিকার এই ওপেনারই জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স ব্রিগেডের থেকে। মার্করাম ১৩৬ রান করে আউট হলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি প্রোটিয়াদের। ডেভিড বেডিংহাম (২১) ও উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইন (৪) অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।