তিনি এখন দলের অধিনায়ক। কিন্তু তিন বছর আগে দলের হয়ে নিলামে নির্বাচিতই হননি। বাদ পড়েছিলেন। ব্যথাহত মনে বাড়ি ফিরে যান। তারপর একজন খেলোয়াড় আহত হওয়ায় বদলি হিসেবে ফের আসে ডাক।
রজত পাটিদার
শেষ আপডেট: 16 May 2025 13:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিনি এখন দলের অধিনায়ক। কিন্তু তিন বছর আগে দলের হয়ে নিলামে নির্বাচিতই হননি। বাদ পড়েছিলেন। ব্যথাহত মনে বাড়ি ফিরে যান। তারপর একজন খেলোয়াড় আহত হওয়ায় বদলি হিসেবে ফের আসে ডাক।
এটুকু বলেই ক্ষান্ত থাকলেন না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (RCB) অধিনায়ক রজত পাটিদার (Rajat Patidar)। জানালেন, দ্বিতীয়বার দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান পেয়ে খুব একটা খুশি হননি, মনের কোণে জমেছিল অসন্তোষ। এমনকি প্রত্যাবর্তনের আবেদনে সাড়া দেবেন কি না, সেই নিয়েও দ্বিধায় ছিলেন।
ঠিক কী হয়েছিল ২০২২ সালে? আইপিএল (IPL) শুরুর আগের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে রজতের মন্তব্য, ‘নিলামের আগে আমার কাছে একটি মেসেজ আসে। যেখানে বলা হয়, তৈরি থাকো। আমরা তোমায় নিলামে বেছে নেব। শুনে মনে আশা জাগে। ফের একবার আরসিবির হয়ে নামব ভেবে খুশি হই। কিন্তু ওরা আমায় নিলামে দলে নেয়নি। দুঃখ হয়েছিল।‘
এরপরই শুরু হয় ফিরে আসার পালা। হাল ছাড়েননি রজত। নিজেকে ক্রমাগত শানিতে করে তুলেছিলেন। কীভাবে? তা খোলসা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি ইন্দোরে স্থানীয় ম্যাচ খেলতে থাকি। তারপর ফের একবার মেসেজ আসে। এবার বলা হয়, আমরা তোমায় লুভনিথ সিসোদিয়ার বদলি হিসেবে বেছে নিতে চাই। ও আহত ছিল। কিন্তু সত্যি বলতে, আমি কারও পরিবর্তে মাঠে নামতে রাজি ছিলাম না। কারণ, আমার ধারণা ছিল, দলে যোগ দিলেও মাঠে নামার সুযোগ পাব না। রাগ হয়নি। ভেবেছিলাম, ওরা যদি নিলামে না কেনে, তার অর্থ ম্যাচেও সেভাবে সুযোগ পাব না। কিছুক্ষণের জন্য ক্ষোভ জমেছিল। তারপর সব স্বাভাবিক।‘
এই অবস্থায় বিরাটের (Virat Kohli) সঙ্গে কথোপকথনে মত বদলে ফেলেন রজত পাটিদার। আর এর পুরস্কারও জোটে শেষমেশ। হাতে আসে নেতৃত্বের সম্মান। যেদিন বিরাট নিজের হাতে তাঁকে অধিনায়কত্বের স্মারক তুলে দেন, সেদিনের অনুভূতি কেমন ছিল? বলতে গিয়ে রজতের মন্তব্য, ‘আমি কোহলিকে অনেক জায়গায় দেখেছি। প্রথমে টিভির পর্দায়, তারপর আইপিএলে। ফের মাঠের বাইরে, জাতীয় দলে। তাই যেদিন বিরাট নিজের হাতে আমায় স্মারক তুলে দেন, আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না, কী করা উচিত। ওর কথামতো স্মারক হাতে নিই। জিজ্ঞেস করি, কী বলব? জবাবে বিরাট নিজেই বলে ওঠে, তুমি এর যোগ্য দাবিদার। এই সম্মান অর্জন করে নিয়েছ। আমার মাথা পুরো ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। বিরাটের কথা শুনে একটু স্বাভাবিক হই। ওইদিনের স্মৃতি সত্যি স্পেশাল, কোনওদিন ভুলব না।‘