প্রতিপক্ষকে ছাপিয়ে যাওয়ার দক্ষতাই সুদর্শনের সঙ্গে তাঁর ব্যাটিং জুটিকে এত কার্যকর করে তুলেছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতিকে উপলব্ধি করা এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা দলের কৌশলগত সচেতনতা ছিল।
সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল
শেষ আপডেট: 22 May 2025 19:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইপিএল ২০২৫-এর (IPL 2025) প্লে অফে (Play Off) কোন চারটি দল খেলবে তা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে টেবিল শীর্ষে রয়েছে গুজরাত টাইটানস (Gujrat Titans)। এবারের আইপিএলে সব থেকে ধারাবাহিক দল গুজরাত। ১২টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে হেরেছে তারা। গুজরাতের এই সাফল্যের পিছনে তাদের দুই ওপেনার (Openar) শুভমান গিল (Shubman Gill) ও সাই সুদর্শনের (Sai Sudharsan) ভূমিকা অনস্বীকার্য।
অরেঞ্জ ক্যাপের (Orange Cap) তালিকার প্রথম দুই স্থানে রয়েছেন গিল ও সুদর্শন। দু’জনেই ৬০০-র ওপর রান করেছেন। সুদর্শন করেছেন ৬১৭ ও গিল করেছেন ৬০১ রান। তাঁদের ওপেনিং জুটির ওপর ভর করেই সাফল্যের রাস্তায় হেঁটেছে গুজরাত। এবার জিটি অধিনায়ক শুভমান গিল জানালেন সাইয়ের সঙ্গে তাঁর সাফল্যের রসায়ন (Success Chemistry)।
শুভমান গিল বলেছেন, প্রতিপক্ষকে ছাপিয়ে যাওয়ার দক্ষতাই সুদর্শনের সঙ্গে তাঁর ব্যাটিং জুটিকে এত কার্যকর করে তুলেছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতিকে উপলব্ধি করা এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা দলের কৌশলগত সচেতনতা ছিল। আর এটাই ২০২৫ সালের আইপিএলে তাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
২০২৫ সালের আইপিএলে ওপেনিং জুটি হিসাবে, সুদর্শন এবং গিল ৭৬.২৭ গড়ে ৮৩৯ রান করেছেন। এই জুটি সাতবার পঞ্চাশের গণ্ডি অতিক্রম করেছে, যার মধ্যে তিনটি অতিক্রম করেছে ১০০ রানের সীমা।
রবিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দিল্লির বিরুদ্ধেওপেনিং জুটিতে গুজরাতের রান ওঠে ২০৫, যা জিটির হয়ে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত কোনও উইকেট না হারিয়েই ম্যাচটি জিতে নেয় গুজরাত।
ওপেনিং পার্টনার সুদর্শন সম্পর্কে বলতে গিয়ে শুভমান বলেন, "আমার মনে হয় আমাদের ব্যাটিং করার ধরন একেবারেই আলাদা। তবে বাম-ডান জুটি হওয়ায় বিপক্ষের সমস্যা বাড়ে। আমরা দু’জনেই উইকেটের মাঝখানে খুব ভাল দৌড়ই, এবং আমরা এমন ক্রিকেটার যাঁরা প্রতিপক্ষকে, এমনকি বোলারদেরকেও ছাপিয়ে যেতে পছন্দ করি।"
সেই সঙ্গে গুজরাত অধিনায়কের সংযোজন, "টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশেষ করে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম চালু হওয়ার পর, প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দক্ষতা কিছুটা কমে গিয়েছে। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের দল এখনও এটি ভালভাবে করে চলেছে। তবে আসল দক্ষতা হল পরিস্থিতির মূল্যায়ন করা এবং ধারাবাহিকভাবে লড়াইয়ের স্কোর তৈরি করা। আমি বিশ্বাস করি, এটিই আমাদের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।"
পাশাপাশি গিল দলের ধারাবাহিক সাফল্যের কথাও তুলে ধরেছেন। দলগত অবদানকে কৃতিত্ব দিয়ে বলেন, "আমি মনে করি এটি একটি যৌথ পারফরম্যানস। সবাই একত্রিত হচ্ছে এবং সকল দিক থেকে অবদান রাখছে। এটি এমন কিছু যা আমরা তিন বছর ধরে করে চলেছি। আমি মনে করি এটি এই মরশুমেও অব্যাহত রয়েছে।"
বোলিং ইউনিটকে শক্তিশালী করার জন্য গুজরাত অধিনায়ক কোচ আশিস নেহরাকেও কৃতিত্ব দিয়েছেন। শুভমান বলেন, "আমি মনে করি আশিস নেহরা যখন প্রথম বছরে গুজরাত টাইটান্সে আসেন তখন তাঁর একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তিনি জানতেন কীভাবে তিনি দল গঠন করতে চান এবং খেলোয়াড়দের ভূমিকা নির্ধারণ করতে চান। মাঠে এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দুর্দান্ত ছিল। সবসময় উন্নতি করার কিছু ক্ষেত্র থাকে। খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে বোলারদের সঙ্গে তিনি যেভাবে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন, তা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, আইপিএলে ম্যাচ জেতায় ব্যাটাররা। কিন্তু আমাদের আদর্শ ভিন্ন। বোলাররা যদি নিজেদের প্রমাণ করতে না পারে, তবে কত রান হয়েছে তা বিবেচ্য নয়। নেহরা যেভাবে বোলিং ইউনিটকে পরিচালনা করেন তা আমাদের জন্য একটি বড় শক্তি।"