হায়দরাবাদের (LSG) বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে চলতি আইপিএলের (IPL 2025) প্লে-অফের (Playoff) রেস থেকে ছিটকে গিয়ে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) জানিয়ে দেন, এই সিজন ‘সফল’ হত। অন্তত, তেমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
যোগরাজ সিং ও ঋষভ পন্থ
শেষ আপডেট: 20 May 2025 14:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অনেকের মতে, প্রাইস ট্যাগের চাপে আইপিএলে বেলাইন ঋষভ পন্থ। না পেলেন রান, না পারলেন দলকে টেনে প্লে-অফে তুলতে।
যদিও এই তত্ত্ব মানতে নারাজ যোগরাজ সিং। যুবরাজ সিংয়ের বাবা, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন, টাকার অঙ্ক মোটেও ঋষভের বিপর্যয়ের কারণ নয়। তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন টেকনিকের গলদের জন্য। আর সেটা একবার বুঝতে পারলে ঋষভকে সংশোধন করাটা স্রেফ ‘পাঁচ মিনিটে’র কাজ!
উল্লেখ্য, আত্মবিশ্বাসের অভাবে সিজনের গোড়া থেকে ভুগছেন লখনউ অধিনায়ক। মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রায় ২৭ কোটি টাকায় তাঁকে নিলামে কিনেছিলেন। আইপিএলে এ বছর মাত্র একবারই তিনি ২৭ রান তুলেছেন। ১২ ম্যাচে নেমেছেন। করেছেন ১৩৫ রান। গড় ১২-র একটু উপরে। স্ট্রাইক রেট ১০০। আইপিএলের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে সমালোচনা, বিদ্রূপ সব সহ্য করতে হয়েছে ঋষভকে। তাঁকে এত চড়া দামে কেনা হল কেন? কেনই বা টি-২০ ক্রিকেটে সেভাবে সফল না হওয়া সত্ত্বেও ঋষভের উপর আস্থা রাখলেন গোয়েঙ্কা? টাকার চাপ-ই কি বড় হয়ে দেখা দিল? মনস্তাত্ত্বিক চাপ সামলাতে ব্যর্থ হলেন নবাগত অধিনায়ক? এমন একগুচ্ছ প্রশ্ন আর জল্পনা উঠতে শুরু হয়েছে।
এই নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন যোগরাজ। বলেছেন, ‘ঋষভের সমস্যা মাত্র পাঁচ মিনিটেই সারিয়ে ফেলা সম্ভব। ওর মাথা ঠিক জায়গায় স্থির থাকছে না, বাম কাঁধ বাইরে বেরিয়ে আসছে। একটু সংশোধন করলেই ঋষভ খুব অল্প সময়ে নিজের সেরা ফর্মে ফিরে আসবেন।‘
উল্লেখ্য, হায়দরাবাদের (LSG) বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে চলতি আইপিএলের (IPL 2025) প্লে-অফের (Playoff) রেস থেকে ছিটকে গিয়ে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) জানিয়ে দেন, এই সিজন ‘সফল’ হত। অন্তত, তেমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সফল হল না, তার কারণ, খেলোয়াড়দের অনেকেই চোট-আঘাতে জর্জরিত। কেউ আস্ত সিজন মাঠেই নামতে পারলেন না, কেউ কেউ ফিরলেন দেরিতে। ততক্ষণে আইপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে!
কিন্তু কতটা সত্যতা আছে ঋষভের বক্তব্যে? এটা যুক্তি না অজুহাত? ঋষভ পন্থ, যাকে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে কিনেছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, বুক বাজিয়ে ঘোষণা করেন, রোহিত কিংবা ধোনির মতো আগামী দিনে টুর্নামেন্টে সফলতম অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম লেখা থাকবে—একটার পর একটা ধরাশায়ী পারফরম্যান্সে মালিকের রক্তচাপ বাড়িয়েছেন, দলকে টেনে এনেছেন খাদের কিনারে।
কী বলেছেন ঋষভ? জানিয়েছেন, তিনি দলের প্রধান পেসারদের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাননি। মায়াঙ্ক যাদব এবংমহসিন খান সিমার হয়েও বেশির ভাগ সময় চোটের জন্য দলের বাইরে ছিলেন। ফিরে এসেও ভাল বল করতে পারেননি। চোট পেয়ে দলের বাইরে যান।
এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহম্মদ কাইফ। বলেছেন, ‘পুরো সিজন খেলতে পারবে এমন খেলোয়াড়দের আমি দলে নিতে চাইব। লখনউয়ের পুরো দলই চোট-আঘাতে জর্জরিত। বলছি না যে, চোট পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু যাদের চোটগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের বড় অঙ্ক দিয়ে দলে ধরে রাখার মানেই হয় না। দরকারে নিলামে কেনা যেতে পারে।‘