ঋষভ পন্থ, যাকে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে কিনেছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, বুক বাজিয়ে ঘোষণা করেন, রোহিত কিংবা ধোনির মতো আগামী দিনে টুর্নামেন্টে সফলতম অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম লেখা থাকবে—একটার পর একটা ধরাশায়ী পারফরম্যান্সে মালিকের রক্তচাপ বাড়িয়েছেন, দলকে টেনে এনেছেন খাদের কিনারে।
ঋষভ পন্থ
শেষ আপডেট: 20 May 2025 13:28
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহা নিলামেই মহা বিপর্যয়!
হায়দরাবাদের (LSG) বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে চলতি আইপিএলের (IPL 2025) প্লে-অফের (Playoff) রেস থেকে ছিটকে গিয়ে লখনউ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant) জানিয়ে দেন, এই সিজন ‘সফল’ হত। অন্তত, তেমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সফল হল না, তার কারণ, খেলোয়াড়দের অনেকেই চোট-আঘাতে জর্জরিত। কেউ আস্ত সিজন মাঠেই নামতে পারলেন না, কেউ কেউ ফিরলেন দেরিতে। ততক্ষণে আইপিএলের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে!
কিন্তু কতটা সত্যতা আছে ঋষভের বক্তব্যে? এটা যুক্তি না অজুহাত? ঋষভ পন্থ, যাকে আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দামে কিনেছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, বুক বাজিয়ে ঘোষণা করেন, রোহিত কিংবা ধোনির মতো আগামী দিনে টুর্নামেন্টে সফলতম অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নাম লেখা থাকবে—একটার পর একটা ধরাশায়ী পারফরম্যান্সে মালিকের রক্তচাপ বাড়িয়েছেন, দলকে টেনে এনেছেন খাদের কিনারে।
কী বলেছেন ঋষভ? জানিয়েছেন, তিনি দলের প্রধান পেসারদের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাননি। মায়াঙ্ক যাদব এবংমহসিন খান সিমার হয়েও বেশির ভাগ সময় চোটের জন্য দলের বাইরে ছিলেন। ফিরে এসেও ভাল বল করতে পারেননি। চোট পেয়ে দলের বাইরে যান।
এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহম্মদ কাইফ। বলেছেন, ‘পুরো সিজন খেলতে পারবে এমন খেলোয়াড়দের আমি দলে নিতে চাইব। লখনউয়ের পুরো দলই চোট-আঘাতে জর্জরিত। বলছি না যে, চোট পাওয়া অসম্ভব। কিন্তু যাদের চোটগ্রস্ত হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তাদের বড় অঙ্ক দিয়ে দলে ধরে রাখার মানেই হয় না। দরকারে নিলামে কেনা যেতে পারে।‘
উল্লেখ্য, নিলামে খেলোয়াড় কেনাবেচার পাশাপাশি ধরে রাখারও অপশন রয়েছে। এবারের অকশনে লখনউ নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণোই (১১ কোটি), মায়াঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মহসিন খান (৪ কোটি) এবং আয়ুষ বাদোনিকে (৪ কোটি) দলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এদের মধ্যে মায়াঙ্ক নেমেছেন দুটি কি তিনটি ম্যাচে, মহসিন একটি ম্যাচও খেলেননি। শুধু তাই নয়। আকাশ দীপকে আইপিএল শুরুর পর সই করিয়েছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। কিন্তু আকাশও পুরো সিজিন খেলতে পারেননি।
আর এই নিয়েই নজর টেনেছেন ঋষভ পন্থ। বলেছেন, ‘এটা আমাদের টুর্নামেন্ট হতেই পারত। কিন্তু লড়াই শুরুর আগেই অনেক ফাঁক, খামতি লক্ষ্য করা যায়। চোট-আঘাত যার প্রধান কারণ। দলের ভেতর এই নিয়ে আলোচনা চালাতে আমরা রাজি ছিলাম না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাঁক ভরাট করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।‘
এর জন্য নিলামের রণকৌশলকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ঋষভ। বলেছেন, ‘যেভাবে আমরা অকশনের ছক কষেছিলাম যদি সেটা বোলারদের নিয়েও করা যাত তাহলে ছবিটা বদলাতেই পারত। কিন্তু এটাই ক্রিকেট। কিছু জিনিস তোমার পক্ষে যায়, কিছু যায় না। আমরা যেভাবে খেলেছি তার জন্য গর্বিত। নেতিবাচক হওয়ার বদলে ইতিবাচক থাকতে চাই।‘