অভিষেক ম্যাচ থেকেই পরিশ্রমী, প্রতিভাবান বোলার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন বুমরাহ। কিন্তু শুধু ‘ভাল’র খোপেই নিজেকে আটকে রাখেননি। করে তুলেছেন আরও ধারলো।
সপরিবারে বুমরাহ
শেষ আপডেট: 12 June 2025 06:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মানসিক শান্তি, সুখী গৃহকোণ ও পিতৃত্বের দায়িত্ব—জসপ্রীত বুমরাহর (Jasprit Bumrah) আরও শানিত, আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার তিনটি রহস্য ফাঁস করলেন তাঁর সঞ্জনা গণেশন (Sanjana Ganesan)।
সঞ্জনা পেশায় ক্রীড়া উপস্থাপিকা। সম্প্রতি হাজির হন ‘মোমেন্ট অফ সাইলেন্স’ (Moment of Silence) একটি পডকাস্টে (Podcast)। সেখানেই জানান বুমরাহর পছন্দ-অপছন্দ, তাঁদের দাম্পত্য ও সংসার সাজিয়ে তোলার টুকরো টুকরো গল্প।
অভিষেক ম্যাচ থেকেই পরিশ্রমী, প্রতিভাবান বোলার হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন বুমরাহ। কিন্তু শুধু ‘ভাল’র খোপেই নিজেকে আটকে রাখেননি। করে তুলেছেন আরও ধারলো। আরও তীক্ষ্ম। সঞ্জনার মতে, এই বদলের শুরুয়াত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। যখন তাঁদের ছেলে অঙ্গদের জন্ম হয়।
সঞ্জনা বলেন, ‘বুমরাহ এশিয়া কাপ খেলতে বাইরে ছিল। খবর পেয়ে তক্ষুনি দেশে ফিরে আসে। আমি জোরগলায় বলতে চাই না। কিন্তু এটা সত্যি যে, অঙ্গদের জন্মের পর বুমরাহ আরও ভাল ক্রিকেটার হয়ে উঠেছে। আসলে যখন আপনার শান্তির নীড়ে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকে, যখন আপনার একজন বাবা ও স্বামী হওয়া ছাড়া আর কোনও দায়ভার থাকে না—এটা খুবই সাহায্য করে।‘
নিজে একজন বিখ্যাত ক্রিকেটারের স্ত্রী। বাকি খেলোয়াড়দের সহধর্মিণীদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক? তাঁদের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা ঠিক কীরকম? সঞ্জনার কথায়, ‘সবার ব্যক্তিত্ব আলাদ আলাদা। কখনও একজন ক্রিকেটারের ইন্টারভিউ নিয়ে তাঁর স্ত্রীর মুখোমুখি হই এবং বুঝতে পারি, তাঁরা একে অপরের পরিপূরক।‘
আর বুমরাহর ইন্টারভিউ? পেশার তাগিদে কখনও না কখনও নিশ্চয় নিতে হয়েছে। মুচকি হেসে সঞ্জনার জবাব, ‘টি২০ বিশ্বকাপ জেতার পর সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলাম। ও ইচ্ছে করে মজার কাণ্ড করতে শুরু করে। চোখ মারে, হেসে চলে। যাতে আমি মনঃসংযোগ হারাই। অন্যমনস্ক হয়ে পড়ি। বুমরাহ জানে কখন আমি প্রবলভাবে নিজেকে ফোকাস করতে চাই। আর তক্ষুনি ও সেটা বিগড়ে দেয়!’
কিন্তু ময়দানের ঝক্কি, পেশার বৃত্তের বাইরে ‘মানুষ’ বুমরাহ ঠিক কীরকম? তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন কতটা গভীর? এবার আর মুচকি নয়, একগাল হেসে সঞ্জনা বলে ওঠেন, ‘ও আমার কাছের বন্ধু। আমরা একসঙ্গে শুয়ে থাকি। চকোলেট খাই। নেটফ্লিক্স দেখি। দিনের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করি। এটাই আমাদের বিশ্রামের জায়গা, শান্তির কোণ।‘