অপারেশন সিঁদুর যখন পুরোদমে চলছে, তখন বিদেশি ক্রিকেটাররা অন্ধকারে ছিলেন। কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী হচ্ছে, কী হতে চলেছে, কতদিন ধরে এই লড়াই চলবে!
মঈন আলি
শেষ আপডেট: 19 May 2025 11:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) যখন শুরু হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলছে, তখনই আইপিএল (IPL 2025) স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই (BCCI)। আঘাত-প্রত্যাঘাতের সেই মুহূর্তে আতঙ্ক তাড়া করেছিল মঈন আলিকে (Moeen Ali)। ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তাঁর বাবা-মা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন। শুধু তাই নয়। তাঁদের খুব কাছেই চলছিল গোলাগুলি, আছড়ে পড়েছিল মিসাইল।
দ্বিপাক্ষিক সংঘর্ষ বিরতির ফলে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে আইপিএল। বিদেশি ক্রিকেটাররা নিজেদের দেশে ফিরে যান। অনেকে ফিরে এলেও কেউ কেউ এখনও বাড়িতেই রয়েছেন। মঈন আলিও আপাতত ইংল্যান্ডে। কেকেআর শিবিরে যোগ দেননি। যদিও অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন উৎকণ্ঠা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তিনি।
সেই সময়ের পরিস্থিতির কথা মনে করে মঈন একটি পডকাস্টে বলেন, ‘আমার বাবা-মা সে সময় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিলেন। ভারত হামলা চালাচ্ছিল যেখানে, সেখান থেকে মেরেকেটে এক ঘণ্টা দূরের একটি জায়গায়। কিছুটা দূরেও হতে পারে। তখন অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তারপর ওঁরা দিনের শেষ ফ্লাইটে চলে আসেন। বেরিয়ে এসেছিলেন, এটা ভেবেই আমি খুশি।‘
যুদ্ধ পরিস্থতি কীভাবে খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলেছিল সে কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মঈন বলেন, ‘সংঘর্ষ দানা বাঁধার আগেই কাশ্মীরে হামলা চলছিল। তারপর আচমকা সংঘাতের মাত্রা বাড়ে। আমরা যুদ্ধের মধ্যে পড়ে যাই। যদিও আমরা মিসাইল হানার শব্দ শুনিনি। কিন্তু এসবের মধ্যে কোনওক্রমে ভারত ছেড়ে দেশে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছিলাম, যাতে পরিবাঁদের সবাই সুরক্ষিত থাকে। আত্মীয়-পরিজন সকলে চান আমরা যাতে সুস্থ থাকি। আমাদেরও উচিত তাঁদের শান্তি দেওয়া।‘
অপারেশন সিঁদুর যখন পুরোদমে চলছে, তখন বিদেশি ক্রিকেটাররা অন্ধকারে ছিলেন। কেউ বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী হচ্ছে, কী হতে চলেছে, কতদিন ধরে এই লড়াই চলবে! সেই পরিস্থিতির বিবরণ দিতে গিয়ে মঈনের বক্তব্য, ‘ক্রিকেটারদের কেউই ঠিকমতো কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না। আমি অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছি। কেউ ভেবেছিল, যুদ্ধ হতে পারে না। সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। আবার অনেকে চিন্তা করে, যুদ্ধ হবেই। আঘাত করলে প্রত্যাঘাত আসবেই।
সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে ভুয়ো খবর ছাড়ানোর হিড়িক। এই নিয়ে দেশের সংবাদমাধ্যমকেও একহাত নিয়েছেন মঈন আলি। বলেছেন, ‘সেই সময় প্রচুর মিথ্যা রটনা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। মানুষের মুখের কথা, সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে ওঠে। কেউ বুঝতেই পারছিলেন না, কী হচ্ছে, কোথায় দাঁড়ানো উচিত। এটা সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা। তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় ছিল ফ্লাইট বাতিল হওয়া। এর ফলে দেশে ফেরা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।‘