অবশ্যই বিরাট আরও ভাল জানেন, কিন্তু এই মহান খেলোয়াড়ের একজন ভক্ত হিসাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে তাঁর অকাল অবসরের কারণে আমি হতাশ। আমার মনে হয় তাঁর মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট রয়েছে।
জাভেদ আখতার ও বিরাট কোহলি
শেষ আপডেট: 14 May 2025 14:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিরাট কোহলির (Virat Kohli) টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর (Retirement) ঘোষণার পর দুই দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও গোটা ক্রিকেট বিশ্ব ‘বিরাটময়।’ শুধুমাত্র প্রাক্তন বা বর্তমান ক্রিকেটাররাই নন, কোহলির অবসর নিয়ে প্রতিক্রিয়া জনাচ্ছেন নানা পেশার ব্যক্তিত্বরাও। সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে হতাশার প্রতিফলন। বিরাটের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত কেউই মেনে নিতে পারছেন না।
বিরাট কোহলির টেস্ট ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বিশ্বজুড়ে অনেকের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কোহলির বয়স ৩৬ বছর হতে পারে, কিন্তু তিনি এখনও বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের একজন। যদিও টেস্টে সাম্প্রিতককালে তাঁর সাফল্য নজরকাড়া নয়। তবুও কেউ কল্পনা করেননি যে, বিরাট ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাট থেকে হঠাৎ করে একদিন সরে দাঁড়াবেন, যে টেস্ট ক্রিকেট তাঁর হৃদয়ের এত কাছে ছিল।
বিখ্যাত গীতিকার (Lyricist) জাভেদ আখতারও (Javed Akhtar) হতাশ (Disapointed) বিরাটের সিদ্ধান্তে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর হৃদয় ভেঙে গিয়েছে (Heart Broken)। ভারতীয় সঙ্গীত জগতের অন্যতম সেরা এই গীতিকার বিরাটকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা (Reconsider Decision) করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
জাভেদ এক্স-এ লিখেছেন, "অবশ্যই বিরাট আরও ভাল জানেন, কিন্তু এই মহান খেলোয়াড়ের একজন ভক্ত হিসাবে টেস্ট ক্রিকেট থেকে তাঁর অকাল অবসরের কারণে আমি হতাশ। আমার মনে হয় তাঁর মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট রয়েছে। আমি আন্তরিকভাবে তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছি।"
একজন অধিনায়ক হিসাবেই বিরাট ভারতীয় টেস্ট দলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি ঘরের মাঠে ২২ টেস্টে ভারতকে ১৭টি জয় এনে দিয়েছিলেন, মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছিলেন এবং চারটি ড্র করেছিলেন। দেশের বাইরে, বিরাট ২১ টেস্টে ভারতকে ১১টি জয় এনে দিয়েছিলেন, সাতটি হেরেছিলেন এবং তিনটি ড্র করেছিলেন। তাঁর অধীনে ভারত ক্রিকেটবিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।
শচিন তেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিদের পর, বিরাট বিদেশের পরিস্থিতিতে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র হিসাবে তাঁদের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বাউন্সি, সুইং, সিমিং পিচেও রান সংগ্রহ করা বিরাটের কাছে ছিল একটি সাধারণ ব্যাপার। বিরাটের কাছে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া কখনওই কোনও সমস্যা তৈরি করেনি।