নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, “পরিচালক বং কোনও একটি জঁর-নির্ভর ছবি নির্মাতা নন। তিনি গল্প বলেন নিজের শর্তে। কখনও কৌতুক, কখনও তীব্র ব্যঙ্গ, সব শেষে এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি, যা দগ্ধ করে দর্শককে।”
পরিচালক বং জুন হো
শেষ আপডেট: 5 July 2025 12:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হলিউডকে হেলায় হারিয়ে বিশ্বসেরা ‘প্যারাসাইট’। নিউ ইয়র্ক টাইমসের চোখে ২১ শতকের শ্রেষ্ঠ ছবি দক্ষিণ কোরিয়ার এই সমাজচিত্র। নোলান, ফিনচারদের টপকে প্রথম স্থানে এশীয় পরিচালক বং জুন হো-র এই মাস্টারপিস। শতাব্দীর ১০০টি সেরা ছবির তালিকা এবং তার শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে এই ব্ল্যাক কমেডি।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের দাবি, “পরিচালক বং কোনও একটি জঁর-নির্ভর ছবি নির্মাতা নন। তিনি গল্প বলেন নিজের শর্তে। কখনও কৌতুক, কখনও তীব্র ব্যঙ্গ, সব শেষে এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি, যা দগ্ধ করে দর্শককে।”
২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই কোরিয়ান ছবি এক গরিব পরিবারের গল্প বলে, যারা ধাপে ধাপে এক ধনী পরিবারের জীবনে ঢুকে পড়ে। অদ্ভুত ঠান্ডা রসবোধ আর সমাজ-সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি মিলিয়ে এই ছবি জিতে নিয়েছিল কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে Palme d'Or— প্রথম কোরিয়ান ছবি হিসেবে। মাত্র ১১ মিলিয়ন ডলারে তৈরি এই ছবির বিশ্বব্যাপী আয় ছিল ২৫৮ মিলিয়ন ডলার।
তারপর একে একে জয় করেছিল গোল্ডেন গ্লোবস, বাফটা, SAG, এমনকি অস্কারেও ইতিহাস গড়েছিল। কারণ প্যারাসাইট প্রথম নন-ইংলিশ ভাষার ছবি, যা বেস্ট পিকচার বিভাগে অস্কার জিতে নেয়। সঙ্গে আসে আরও তিনটি পুরস্কার, বেস্ট ডিরেকশন, বেস্ট অরিজিনাল স্ক্রিন প্লে এবং বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম।
যাদের হারিয়ে প্রথম ‘প্যারাসাইট’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে ডেভিড লিঞ্চের Mulholland Drive, তৃতীয় পল টমাস অ্যান্ডারসনের There Will Be Blood। বাকিগুলি হল,
চমক দিয়েছে পাঠকদের তালিকাও। ক্রিস্টোফার নোলানের ইন্টারস্টেলার সেখানে ৫ নম্বরে থাকলেও, মূল তালিকায় তা গিয়েছে ৮৯ নম্বরে।
এই সম্মান নিছক সিনেমার সাফল্য নয়, বরং ভাষা ও সংস্কৃতির বাধা অতিক্রম করে বিশ্বব্যাপী এক গল্প বলা। 'প্যারাসাইট' যেন প্রমাণ করে দিয়েছে, ভাল সিনেমা বুঝতে কোনও অনুবাদ লাগে না, দরকার শুধু অনুভব করার মন।