নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইপিএফ-এর টাকা তোলা যেমন আরও সহজ হবে, তেমনই সময়ও বাঁচবে, এমনই আশা করছেন সদস্যরা।
ফাইল ছবি
শেষ আপডেট: 29 June 2025 13:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইপিএফও (EPFO)-র সদস্যরা খুব শীঘ্রই তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড (EPF)-এর টাকা সরাসরি এটিএম বা ইউপিআই-এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন, এমনই নতুন নিয়মের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রক। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট যুক্ত করলেই, টাকা তোলার জন্য আলাদা করে ক্লেম ফাইল করার আর প্রয়োজন পড়বে না।
নতুন নিয়মে কী থাকবে?
এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, শ্রম মন্ত্রক এমন এক ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করছে, যাতে ইপিএফ ভোক্তারা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইপিএফ অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করিয়ে সরাসরি ইউপিআই অথবা এটিএম ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারেন। যদিও, পুরো টাকাটা নয়, ইপিএফ-র একটি অংশ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য 'ফ্রোজেন' থাকবে। তবে বাকি বড় অংশের টাকা সহজেই তুলতে পারবেন সদস্যরা।
বর্তমানে কীভাবে টাকা তুলতে হয়?
এই মুহূর্তে ইপিএফ থেকে টাকা তুলতে গেলে সদস্যদের অনলাইন বা অফলাইনে ক্লেম জমা দিতে হয়। যদিও ইপিএফও-র অটো-সেটেলমেন্ট সিস্টেম রয়েছে, যেখানে তিন দিনের মধ্যে ক্লেম মঞ্জুর হয়, তবুও প্রক্রিয়া শুরু করতে ক্লেম জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি ইপিএফও এই অটো-সেটেলমেন্টের সীমা ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করেছে। চিকিৎসা, পড়াশোনা, গৃহ নির্মাণ বা বিবাহের মতো প্রয়োজনীয় কারণে এই টাকা তোলা যায়।
কেন এই পরিবর্তনের প্রয়োজন?
দেশের সাত কোটিরও বেশি মানুষ ইপিএফও-র পরিষেবা নেন। কোভিডের সময় আর্থিক সমস্যায় থাকা সদস্যদের সাহায্য করতে ইপিএফও প্রথম এই অনলাইন অগ্রিম ক্লেম ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা করতে গেলে ক্লেম ফাইল করতেই হয়। এই ধাপটি বাদ দেওয়ার জন্যই এই নতুন ব্যবস্থা আনার চেষ্টা করছে সরকার। এতে শুধু সদস্যরাই সুবিধা পাবেন না, ইপিএফও-র উপরেও চাপ অনেকটা কমবে। প্রতি বছর পাঁচ কোটির বেশি টাকা তোলার অনুরোধ জমা পড়ে ইপিএফও-তে।
সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন এই ব্যবস্থায় সময় এবং কাগজপত্র, দু’টিই বাঁচবে। যদিও ইপিএফও সরাসরি কোনও ব্যাঙ্ক নয়, তাই ব্যাঙ্কের মতো নগদ টাকা তোলার অনুমতি দিতে পারবে না। তবে সরকার ইপিএফও-র পরিষেবা এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চাইছে, যাতে তা ব্যাঙ্কের মতো সুবিধা দিতে পারে।
নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইপিএফ-এর টাকা তোলা যেমন আরও সহজ হবে, তেমনই সময়ও বাঁচবে, এমনই আশা করছেন সদস্যরা। এখন দেখার, কবে থেকে এই পরিষেবা চালু হয় এবং তা কতটা কার্যকর হয়।