শেষ আপডেট: 12th April 2024 16:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ম্যাগি নুডলসে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য বিপজ্জনক মাত্রায় সীসা ব্যবহারের জন্য নেসলে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ খারিজ করে দিল ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপিউটস রিড্রেসাল কমিশন (এনসিডিআরসি)। ম্যাগির মূল উৎপাদক কোম্পানি নেসলে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ভারত সরকার অভিযোগটি এনেছিল ২০১৫ সালে। প্রসঙ্গত, ওই বছর ৫ জুন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দেশে ম্যাগিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। নির্দেশে বলা হয়, ম্যাগিতে অতিরিক্ত মাত্রায় সীসা এবং বিপজ্জনক মাত্রার বেশি মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট রয়েছে।
ভারত সরকারের অভিযোগ ছিল, নেসলে কোম্পানি অসাধু প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করছিল। প্যাকেটের গায়ে `নো অ্যাডেড এমএসজি` লেখা থাকলেও ইনস্ট্যান্ট নুডলসে সহনশীলতার অতিরিক্ত মাত্রায় সীসা ব্যবহার করা হতো। ১২ এপ্রিল, এনসিডিআরসি সভাপতি বিচারক এপি সাহি বলেন, সেন্ট্রাল ফুড টেকনোলজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিএফটিআরআই) রিপোর্টে নির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে, ম্যাগিতে স্বাদবৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত সীসা সহনশীলতার মাত্রার মধ্যেই রয়েছে।
কমিশনের মতে, একটি সরকারি সংস্থা যখন বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ এবং নির্দিষ্ট প্রমাণস্বরূপ একথা জানিয়েছে, তখন বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধোপে টেকে না। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর তরফে অভিযোগে সপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ না থাকায় এ নিয়ে আর শুনানিরও অবকাশ নেই। এখানেই এই শুনানি শেষ হচ্ছে এবং নেসলে-র বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজ করা হচ্ছে বলে জানায় কমিশন।
২০১৫ সালে এফএসএসএআই নেসলে কোম্পানিকে এক নির্দেশে জানায়, তারা যেন নয়টি স্বাদের ম্যাগি বাজার থেকে তুলে নেয়, যাতে নো অ্যাডেড এমএসজি তকমা লাগানো আছে। তারা আরও বলে যে, ম্যাগিতে সীসা ব্যবহৃত হয়। প্রসঙ্গত, চিনে খাবারে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত আজিনোমোটোতে সীসা থাকে। যা ম্যাগিতেও ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ তোলে কেন্দ্র।
এই নির্দেশের পরেই নেসলে কোম্পানি বাজার থেকে ৯টি স্বাদের ম্যাগি তুলে নেয়। কিন্তু, বম্বে হাইকোর্টে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা ঠোকে। হাইকোর্টেও সরকারি নির্দেশ বহাল থাকে। এরপরেই কেন্দ্রীয় সরকার এনসিডিআরসিতে একটি অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টেও গড়ায়। সুপ্রিম কোর্ট তখন সিএফটিআরআইকে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। এবং এনসিডিআরসিকে রিপোর্টের মূল্যায়ন করতে বলে।