Latest News

নগদে টান, সোনা বিক্রি করতে চান? কোন কোন দিক খেয়াল রাখবেন জেনে নিন

দ্য ওয়াল ব্যুরো: নগদ টাকা যতই থাক না কেন, বিপদে আপদে সোনাদানাই ভরসা। টাকা থাকলে খরচ হয়ে যায়, সোনা ঝট করে খরচ করতে চান না কেউ। জরুরি পরিস্থিতিতে সোনা বিক্রি করেই নগদ টাকা জোগাড় করতে হয়। আর বর্তমানের অতিমারী পরিস্থিতিতে হয়তো এমন জরুরি দরকার হামেশাই হচ্ছে।

সোনা বিক্রি করার জন্য কিন্তু সতর্কতা দরকার। একটু এদিক ওদিক হলেই ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে প্রবল। হয়তো বিপদের সময় ন্যায্য দাম না পেয়েও সোনা বেচে দিতে হয়। জমানো সোনার গয়না বিক্রি করার সময় ঠিক কী কী মাথায় রাখতে হবে? কীভাবে মজুত সোনার সবচেয়ে ভাল দাম পাওয়া যাবে? রইল তার কিছু পরামর্শ।

সোনার ওজন আর শুদ্ধতা জানুন:

বিক্রির আগে অবশ্যই ভাল করে জেনে নিতে হবে আপনার বিক্রয়যোগ্য সোনার গয়নার ওজন কত, তার শুদ্ধতাই বা কেমন। কীভাবে জানবেন? যে গয়না বিক্রি করছেন তার বিল যদি সঙ্গে থাকে, অর্থাৎ কেনার সময় দোকান থেকে পাওয়া রিসিপ্টটি যদি থাকে, তবে আর কোনও চিন্তাই নেই। সেখানেই বিস্তারিত বর্ণনা লেখা থাকবে।

যদি বিল না থাকে, তবে দোকানের দ্বারস্থ হতেই হবে। যেসব সোনার দোকানে ক্যারাট মিটার রয়েছে সেখানে গিয়ে সোনার ওজন পরিমাণ মেপে নেওয়া যায়। এসব ক্ষেত্রে দুই বা তিনটি দোকান থেকে যাচাই করে নেওয়া ভাল। তাতে নিশ্চিত হওয়া যায়।

আর গয়না যদি হলমার্কের হয় তবে স্ট্যাম্পেই ক্যারাটের পরিমাণ উল্লেখ করা থাকে। ফলে সেক্ষেত্রে আরও সুবিধা। যদি কোনও গয়না ২২ ক্যারাটের হয় তবে হলমার্ক স্ট্যাম্পে লেখা থাকবে ২২k। এই পরিমাণ আর বাজারে সেদিনের সোনার দামের উপর ভিত্তি করে বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত হবে।

যেমন, যদি সেদিন বাজারে ২৪ ক্যারাটের ১০ গ্রাম সোনার দাম হয় ৩০ হাজার টাকা, আর আপনি যদি ২২ ক্যারাটের সোনা বিক্রি করতে চান, তবে ১০ গ্রাম সোনার দাম পড়বে ৩০ হাজারের ৯১.৬% অর্থাৎ ২৭ হাজার ৪৮০ টাকা।

ডিসকাউন্ট ভ্যালু:

সোনা কেনার সময় যে মজুরি বা ট্যাক্স দিতে হয়েছিল বিক্রির সময় কিন্তু সেসব কিছুই পাওয়া যাবে না। এছাড়া গয়নাতে যদি অন্য কিছু পাথর বসানো থাকে, বাদ পড়বে তার দামও। এসবের জন্য ক্রেতা বেশি টাকা ডিসকাউন্ট ধরছেন কিনা তার দিকে নজর রাখতে হবে।

সঠিক ক্রেতা নির্বাচন:

সাধারণত যে দোকানদারের কাছ থেকে গয়নাটা কেনা হয়েছে তার কাছেই বিক্রি করা ভাল। কোনও কোনও দোকানে তো আবার নিয়ম আছে নিজেদের বিক্রি করা গয়না ছাড়া অন্য গয়না কেনা হয় না সেখানে।

একাধিক ক্রেতার সঙ্গে পরামর্শ:

একটা সোনার গয়না বিক্রির আগে একাধিক দোকানদার অর্থাৎ ক্রেতার সঙ্গে কথা বলা, পরামর্শ করা, দাম জেনে বুঝে নেওয়া ভাল। যিনি সবথেকে বেশি দাম দিতে রাজি হচ্ছেন গয়না বিক্রি করতে হবে তাঁর কাছেই। যদিও যাঁর কাছে বিক্রি করা হচ্ছে তাঁর সত্যি সত্যিই দাম দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা তাও যাচাই করে দেখতে হবে। কারণ ১০ হাজার টাকার বেশি দামের গয়না বিক্রিতে নগদ টাকা পাওয়া যায় না। চেকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়।

You might also like