শেষ আপডেট: 31st January 2025 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শনিবার সংসদে বাজেট পেশ হবে। তার আগে শুক্রবার আর্থিক সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরনের সেই আর্থিক সমীক্ষা (Economic survey 2025 ) হাতে নিয়ে মোদী সরকারের ময়নাতদন্তে নামলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর কথায়, এই প্রথমবার দেখছি মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সঠিক কথা বলেছেন। তাঁকে সঠিক কথা বলতে দেওয়ার জন্য অন্তত নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ।
চিদম্বরম এদিন বলেন, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকারের উচিত রাস্তা থেকে সরে যাওয়া। এবং উনি এও স্পষ্ট বলেছেন যে মানুষের আস্খা সরকারের উপর নেই।
চিদম্বরমের কথায়, “অর্থনৈতিক সমীক্ষার নির্দিষ্ট কিছু অংশ গত ১০ বছরে সরকারের ব্যর্থতাকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে। এও বলা হয়েছে যে, দেশের অর্থনৈতিক নীতিগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বিধিনিষেধপূর্ণ হয়ে উঠেছে, যা ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের সময় ও মানসিক শান্তি নষ্ট করছে”।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার প্রতিবেদনে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি. অনন্ত নাগেশ্বরন স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, ‘‘সরকারের উচিত জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখা, কারণ আমাদের আর অন্য কোনও পথ নেই। কাজকর্ম যেভাবে চলছে সেভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি স্থবির হয়ে যেতে পারে।’’
নাগেশ্বরন মনে করেন, প্রশাসনিক জটিলতা কমাতেই হবে, কঠোর নিয়মকানুন চাপিয়ে রাখলে, নতুন বিনিয়োগ আসবে না। তিনি বলেন, ‘‘আস্থা ফেরাতে পারলে তবেই ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে।’’ তাঁর মতে, ভারতীয় অর্থনীতি এমনিতেই শক্তিশালী, তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া উন্নয়নের পথ মসৃণ হবে না।
অর্থনৈতিক সমীক্ষার এই সুপারিশ বাজেট ২০২৫-২৬-এ প্রতিফলিত হবে কি না, তা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই মধ্যবিত্ত ও গরিবদের জন্য আর্থিক স্বস্তির বার্তা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর কাঠামোতে পরিবর্তন, বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্যোগ এবং বিধিনিষেধ শিথিল করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা অর্থনীতিকে নতুন গতিপথ দিতে পারে।
এখন দেখার, কেন্দ্র সরকার অর্থনৈতিক সমীক্ষার পরামর্শ মেনে আগামী বাজেটে সংস্কারের পথে হাঁটে কি না!