প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 25th January 2025 15:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর কিছুদিন পরই কেন্দ্রীয় বাজেট। তার আগে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ ইন্ডিয়া (আইসিএআই) দম্পতিদের জন্য যৌথ ট্যাক্স ফাইলিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, যেকোনও দম্পতি তাঁদের আয় একত্র করে ট্যাক্স ফাইল করতে পারবেন। এই নিয়ম যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত রয়েছে। সেই ব্যবস্থাই এদেশে অনুসরণ করার প্রস্তাব দেওয়া হল বাজেটের আগে।
আইসিএআইয়ের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট চিরাগ চৌহান এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'এখন একজন সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ছাড় পেতে পারেন, এই নিয়মে এক দম্পতি ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ছাড় পেতে পারবেন।'
আইসিএআই-এর প্রস্তাব, যদি এই ব্যবস্থা চালু করা হয় কখনও সেসময় দম্পতিরা যেন তাদের আয় কর রিটার্ন করার সময় যেকোনও একটি বেছে নেওয়ার অপশন পান। অর্থাৎ দম্পতি মানেই একসঙ্গে ট্যাক্স ফাইল করতেই হবে এমন যেন না হয়। বিকল্প সিঙ্গল রিটার্ন ফাইলের ব্যবস্থাও যেন থাকে। আইসিএআই মনে করে এভাবে ট্যাক্স ফাইল করলে আয় করে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমবে।
যৌথ ফাইলিংয়ের প্রস্তাবিত কর স্ল্যাব:
৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত: কোন কর নয়
৬-১৪ লক্ষ টাকা: ৫% কর
১৪-২০ লক্ষ টাকা: ১০% কর
২০-২৪ লক্ষ টাকা: ১৫% কর
২৪-৩০ লক্ষ টাকা: ২০% কর
৩০ লক্ষ টাকার উপরে: ৩০% কর
এছাড়া, যৌথ ফাইলিং পদ্ধতিতে, মৌলিক ছাড়ের সীমা ৩ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬ লক্ষ টাকা করার কথা বলা হচ্ছে। আইসিএআই আরও প্রস্তাব করেছে যে, ট্যাক্স ফাইলের ক্ষেত্রে সারচার্জ থ্রেসহোল্ড ৫০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা করা উচিত। সেক্ষেত্রে সারচার্জ ঠিক এই ভাবে অ্যাপ্লাই করা হতে পারে -
১ কোটি থেকে ২ কোটি টাকা: ১০%
২ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকা: ১৫%
৪ কোটি টাকার উপরে: ২৫%
বর্তমানে আলাদা আলাদা করে আয়কর রিটার্ন করতে হয় সকলকে। কখনও কখনও দু'জনের মধ্যে কোনও একজন যদি বেশি আয় করেন, সেক্ষেত্রে আয়করের বোঝা তাঁর ওপর বেশি পড়ে যায়। এই ব্যবস্থায় সেই চাপ অনেকটা কমবে।
যদিও এই ব্যবস্থা খুব শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আয়করের নিয়ম, স্ল্যাব, ছাড় এবং সারচার্জ এই পুরো সিস্টেমটা এক্ষেত্রে পরিবর্তন করতে হবে। যা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। তাই এই মুহূর্তে, অন্তত আসন্ন বাজেটের আগে এই প্রস্তাব বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
তবে, আইসিএআইয়ের এই প্রস্তাব যদি বাস্তবায়িত হয়, একক আয়ের পরিবারের জন্য বড় ধরনের সুবিধা নিয়ে আসবে। করের বোঝা কমানোর জন্য নতুন সুযোগও তৈরি হবে।