দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে শনিবার রাত থেকে শুরু হচ্ছে ব্যাপক ধরপাকড়। সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন ডেভিল হান্ট'। সরকারের এই ঘোষণার পর জল্পনা শুরু হয়েছে ইউনুস প্রশাসনের চোখে শয়তান শুধুই কি আওয়ামী লিগ, নাকি বিএনপির চাঁদাবাজ নেতা-কর্মীরাও।

বাংলাদেশে সেনা অভিযান নতুন নয়। প্রায় দু দশক আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের সেনা অভিযান এখনও বাংলাদেশের মানুষ মনে রেখেছে্। তার আগে খালেদা জিয়ার সরকারও অপারেশন ক্লিন হার্ট নামে একটা অভিযান চালিয়েছিল। 

প্রতিবারই বেহাল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়। এখন বিগত সাত সাড়ে সাত মাস যাবত সেনা বাহিনী মাঠে আছে। 
মহম্মদ ইউনুস দিন কয়েক আগে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছিলেন নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে। সেই অভিযানের প্রধান নিশানা করার কথা বিএনপির তোলাবাজ, চাঁদাবাজ নেতারা
তা শুরু হওয়ার কথা ছিল এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে।

 প্রায় এক সপ্তাহ আগে অভিযান শুরুর পিছনে আওয়ামী লিগকে শায়েস্তা করাই মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। 

শুক্রবার বেশি রাতে ঢাকার অদূরে গাজিপুরে আওয়ামী লিগ কর্মীদের আক্রমণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রায় পনেরো জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়। আওয়ামী লিগের এক নেতা তথা সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে বৈষম্য বিরোধীরা হামলা করে আওয়ামী লিগ প্রতিহত করে বলে দলের তরফে জানানো হয়। জানা গিয়েছে, গাজিপুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে সেনা অভিযান এক সপ্তাহ এগিয়ে আনা হয়েছে। আওয়ামী লিগের নেতা কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করাই হবে অভিযানের উদ্দেশ্য।

অভিযানে বিএনপিকে নিশানা করা হবে কিনা কখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করার কথা। বিএনপি কয়েকদিন যাবত দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছিল। এখন দেখার সরকার খালেদা জিয়া, তারেক জিয়াদের পার্টির চাঁদাবাজ নেতাদের গ্রেফতার করে কিনা।