ভাঙা হচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি
শেষ আপডেট: 17th October 2024 12:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুস সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা বলে মানে না। সংবিধান থেকে এই সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সে দেশের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তাঁর কথায়, মুক্তিযুদ্ধ কোনও ব্যক্তির অবদান নয়। গোটা জাতি এই সংগ্রামে শামিল ছিলেন।
২০১০ সালে শেখ হাসিনা সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা ঘোষণা করে সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করে। সংবিধানে এবং দেশের সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুরের ছবি রাখার কথাও বলা হয়। পরের বছর থেকে ১৫ অগাস্ট তাঁর মৃত্যুদিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করা শুরু করে আওয়ামী লিগ সরকার। দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা। বুধবারই অন্তর্বর্তী সরকার সেই ছুটি বাতিল করে দেয়। এ বছর ১৫ অগাস্ট ছুটি ছিল না।
হাসিনা সরকার শেখ মুজিরের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটিও সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে এবং ওই দিনটি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিল। ইউনুস সরকার সেই ছুটিও বাতিল করে দিয়েছে।
নাহিদ ইসলামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বাংলাদেশের কি কেউ জাতির জনক থাকবেন না। জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ তৈরির লড়াইয়ে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু কেবল ’৫২-তেই শুরু হয়নি, আমরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করেছি। ১৯৪৭ ও ১৯৭১-এর লড়াই আছে। স্বাধীন বাংলাদেশে নয়ের দশক এবং ২০২৪-এর লড়াই আছে। আমাদের অনেক ফাউন্ডিং ফাদারস রয়েছেন। তাঁদের লড়াইয়ের ফলে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।’
তিনি জানান, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, গোটা ইতিহাস নতুন করে লেখা হবে। একপেশে ইতিহাস বাদ দেবে বর্তমান সরকার। প্রসঙ্গত, সংবিধান সংশোধন করে মুজিবকে জাতির পিতা ঘোষণার সিদ্ধান্তে জোরালো আপত্তি তুলেছিল বিএনপি-সহ একাধিক বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য ছিল আওয়ামী লিগ ও শেখ হাসিনা দল ও ব্যক্তিগত স্বার্থে শেখ মুজিবের অবদানকে কুক্ষিগত করছেন। সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিতে চলেছে ইউনুস সরকার।