শেষ আপডেট: 13th November 2024 15:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ মুজিবুর রহমানকে 'জাতির পিতা' বলে মানতে নারাজ। ওই স্বীকৃতি কেড়ে নিতে বুধবার বাংলাদেশ হাই কোর্টে জোর সওয়াল করেন দেশটির প্রধান আইন আধিকারিক তথা অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু তাঁকে জাতির পিতা ঘোষণা করা সংবিধানের ধারণার পরিপন্থী।'
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে রুল জারির জন্য হাই কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল এই কথা বলেন।
২০১১ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় পঞ্চাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি ফিরিয়ে আনা হয়। নিশ্চিত করা হয় সংখ্যালঘুদের ধর্মাচরণের অধিকার। পঞ্চদশ সংশোধনীতেই শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বলে স্বীকৃতির বিষয়টি উল্লেখ করা আছে।
মুজিবের সময়ে চালু ১৯৭২ সালের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা থাকলেও এরশাদের সময়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলে সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছিল।
শেখ মুজিবের জাতির পিতা স্বীকৃতি অবশ্য গত ৫ অগাস্ট থেকে খাতায় কলমেই সীমাবদ্ধ। ওই দিন তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর তিনি দেশ ছাড়লে যত রাগ গিয়ে পড়ে প্রয়াত জাতির পিতা মুজিবের উপর।
মুজিবের শতাধিক মূর্তি ভাঙা হয়েছে। হামলা চালানো হয় তাঁর ধানমণ্ডির বাড়িতে যেটি ছিল জাতীয় যাদুঘর।
ইউনুস সরকার ইতিমধ্যে ১৫ অগাস্টের ছুটি বাতিল করেছে। ১৯৭৫ সালের ওই দিন সপরিবারে খুন হন মুজিব। বাতিল হয়েছে ৭ মার্চের ছুটিও। ১৯৭১ সালের ওই দিন ঢাকার ময়দানে স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু।
ইতিমধ্যে সরকারের গোসার কারণে রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পদে শপথ নেওয়া মাহফুজ আলম, যাকে হাসিনাকে উৎখাতের মাস্টারমাইন্ড বলা হয় তিনি সামাজিক মাধ্যমে বুধবার বলেছেন, শেখ মুজিবকে তাঁর ৭১ পূর্ববর্তী ভূমিকার জন্য মর্যাদা দেওয়া হবে যদি তাঁর পরিবার রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চায়।