শেষ আপডেট: 23rd August 2024 13:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শেখ হাসিনার ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্ট বাতিল করে দিল ইউনুস সরকার। কূটনীতিকদের জন্য লাল পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়ে থাকে। ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টধারীরা কিছু অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকেন। তারমধ্যে অন্যতম হল, যে কোনও সময় দেশ ছাড়ার অনুমতি।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার পাশাপাশি তাঁর বোন রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং বিগত সরকারের মন্ত্রী, সাংসদ এবং বেশ কিছু আমলার লাল পাসপোর্ট বাতিল করে দিয়েছে।
হাসিনার মেয়ে সাইমা ওয়াজেদ পুতুলকে এই তালিকায় রাখা হয়নি। কারণ তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্রধান। তাঁর অফিস দিল্লিতে। তিনি বর্তমানে দিল্লিতেই রয়েছেন। মা ও মাসি দিল্লিতে ভারত সরকারের আতিথ্যে থাকলেও পুতুল জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে তাঁর এখনও মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের অফিস সুত্রে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বৈধ উপায়ে দেশ ছাড়েননি। নিয়ম হল, দেশের কোনও বন্দর দিয়ে দেশ থেকে বেরনো ও প্রবেশ করতে হবে। যদিও হাসিনাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার ও বিমান ভারতে পৌঁছে দেয়।
প্রশ্ন হল, ডিপ্লোমেটিক বা লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় হাসিনার বিপদ কি বাড়ল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এরফলে তাঁর ভারতে অবস্থান নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ডিপ্লোমেটিক পাসপোর্টধারীরা টানা ৪৫ দিন ভারতে থাকতে পারেন। হাসিনা ২৩ দিন হল ভারতে আছেন। ৪৫ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ভারত সরকার তাঁকে অতিথি হিসাবে রাখত। সেই সময়সীমা এবার এগিয়ে এল।
তবে, লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ায় হাসিনার নিজের ইচ্ছায় দেশে ফেরা কঠিন হয়ে পড়ল। বাংলাদেশ সরকার না চাইলে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন না। কারণ দেশে না থাকায় তাঁর পক্ষে সাধারণ পাসপোর্টও করানো সম্ভব হবে না। যদিও অদূর ভবিষ্যতে হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা কম। কূটনৈতিক মহলের সিংহভাগের মতে, ভারত সরকার আগ বাড়িয়ে হাসিনাকে ফেরাতে চাইবে না।