শেষ আপডেট: 11th November 2024 09:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধতা দিতে অর্ডিন্যান্স জারি করতে চলেছেন মহম্মদ ইউনুস। অর্ডিন্যান্সের খসড়া রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে পাঠিয়েছে সরকার। সংসদ চালু না থাকায় রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের কোনও সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা ৫ অগাস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সায় দেন। ৮ অগাস্ট দায়িত্ব নেন মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার এখন মনে করছে, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শই যথেষ্ট নয়। তাই সরকার টিকিয়ে রাখতে অর্ডিন্যান্স জারি করার পথে হাঁটতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, অর্ডিন্যান্সে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে কিছু বলা নেই। কবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা ছাড়বে, কবে হবে নির্বাচন, এইসব প্রশ্ন বারে বারে তুলছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। মার্কিন সফরে গিয়ে ইউনুস ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, আমরা যখন চাইব তখন নির্বাচন হবে। দেখা যাচ্ছে, অর্ডিন্যান্সে সরকারের মেয়াদের বিষয়টি উহ্য রেখে ইউনুস দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার রাস্তা তৈরি করে নিচ্ছেন।
মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই ছাত্রদের দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের জন্য চাপ তৈরি করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন যাতে সরকারের কথা মতো চলেন সে জন্যই তাঁর উপর চাপ বজায় রাখা হয়েছে।
ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন। তিনি নিজেই ছাত্র জীবনে ছাত্র লিগের নেতা ছিলেন। কিন্তু সরকারের ইচ্ছায় বাদ সাধেননি।
আরও জানা গিয়েছে অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত, কাজের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাবে না। জনগণ চাইলে সরকারের ভুল ধরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তের বদল চেয়ে আদালতে মামলা করা যাবে না। ধরে নিতে হবে সরকারের সব সিদ্ধান্তই জনস্বার্থে গৃহীত।
অর্ডিন্যান্সের এই ধারা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটা কালা কানুন। অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচিত সরকার নয়। তাদের প্রাথমিক কাজ নির্বাচন করানো। কিন্তু ইউনুস সে ব্যাপারে উচ্চবাচ্য করছেন না। বরং অর্ডিন্যান্সে সরকারের মেয়াদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন।