শেষ আপডেট:
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিডিআর বা সাবেক সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (Bangladesh Rifles) অফিসার হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ( Sheikh Hasina) তলব করল ওই ঘটনার তদন্তে নিয়োজিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন। হাসিনা ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা সহ আরও ১৪ জনকে তলব করে শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এই বিষয়ে মহম্মদ ইউনুস সরকারের তৈরি কমিশনের (Commission of Enquiry on BDR killing in Pilkhana, Dhaka) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান। রবিবার বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ভারতে (India) আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে খুন (murder) মানবাধিকার হরণের ( violation of human rights) অভিযোগে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই মামলায় হাসিনাকে ফেরানোর দাবি জানিয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত সরকার চিঠির জবাব দেয়নি।
তদন্তে যাদের তলব করা হয়েছে সেই তালিকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লিগের ঢাকার সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম অন্যতম। হাসিনার মতোই সাবেক মেয়র ও প্রাক্তন দুই সাংসদ বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। ডাকা হয়েছে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদকেও।
২০০৯ সালের ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআরের সদর দফতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়। ওই ঘটনার পর তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (border protection force) নাম বদলে করেন বিজিবি বা বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ ( Border Guards Bangladesh)।
কমিশন জানিয়েছে তলব করা ব্যক্তিরা সশরীরে ঢাকার ধানমন্ডিতে কমিশনের অফিসে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে পারেন। এছাড়া +৮৮০১৭১৪০২৬৮০৮ নম্বরে ফোন করে অনলাইন ভিডিও কলে সাক্ষ্য দিতে পারেন।
আওয়ামী লিগ নেতারা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা এবং দলের বাকি নেতারা এই কমিশনকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। প্রসঙ্গত, ওই হত্যাকান্ডের পিছনে ভারতের হাত ছিল বলে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রচার ছিল। কিন্তু সম্প্রতি বর্তমান সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডে বিডিআর জওয়ান ও অফিসারেরাই দায়ী। এর পিছনে কোনও ইফস অ্যান্ড বাটস নেই।
কমিশন সুত্রে জানানো হয়েছে, সময়ের সীমাবদ্ধতার জন্য তলব করা ব্যক্তিদের সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।