শেষ আপডেট: 2nd January 2025 20:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তৃতীয়বারের চেষ্টাতেও জামিন পেলেন না বাংলাদেশ সম্মিলিত হিন্দু ঐক্য জোটের আহ্বায়ক চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। সরকার পক্ষের দাবি মেনে দেশদ্রোহিতার মামলায় ধৃত সাধুকে আপাতত কারাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের জামিন চেয়ে সওয়াল করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবী। তাঁদের অন্যতম অপূর্ব ভট্টাচার্য ঢাকা থেকে দ্য ওয়াল-কে ফোনে জানিয়েছেন, তাঁরা এবার হাই কোর্টে জামিনের মামলা করবেন। তাঁর কথায়, দেশদ্রোহিতার অভিযোগের সপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। স্রেফ দেশদ্রোহিতার মামলা বলেই সরকার পক্ষের দাবি মেনে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারই চিন্ময়কৃষ্ণের মামলা নিয়ে দ্য ওয়াল কথা বলেছে বাংলাদেশের সনামধন্য আইনজীবী ও মানবাধিকার আন্দোলনের সংগঠক জেড আই খান পান্নার সঙ্গে। ঢাকা থেকে টেলিফোনে তিনি জানিয়েছেন, হাই কোর্টে স্বেচ্ছায় চিন্ময়কৃষ্ণের মামলাটি লড়বেন। তাঁর বক্তব্য, দেশদ্রোহিতার মামলায় জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই নিম্ন আদালতের। হাই কোর্টে লড়াই হবে।
চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর আহ্বানে হওয়া চট্টগ্রামের একটি সভায় জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার উপরে রাখা ছিল একটি সংগঠনের পতাকা। আইনজীবী পান্না বলেন, যদি তেমন কিছু হয়েও থাকে তার অর্থ এটা নয় যে জাতীয় পতাকা অবমাননার উদ্দেশে তা করা হয়েছে। প্রবীণ আইনজীবীর কথায়, দেখতে হবে সেটা অনিচ্ছাকৃত ক্রটি কি না।
চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলায় চট্টগ্রামের কোনও আইনজীবী আদালতে সওয়াল করার সুযোগ পাননি। তাঁর আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা আত্মগোপনে আছেন। আবার চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশন প্রস্তাব গ্রহণ করেছে, চিন্ময়ের মামলায় কোনও আইনজীবী অংশ নিতে পারবেন না। জে আই খান পান্না বলেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি সিদ্ধান্ত। প্রত্যেক নাগরিকের, এমনকী খুনের আসামিরও বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ আইনজীবী বলেন, সরকারের, বিচারালয়ের উচিত ছিল চিন্ময়কৃষ্ণের জন্য আইনজীবীর ব্যবস্থা করা। তারা তা করেননি। এ থেকেই বিচার ব্যবস্থার অবস্থা অনুমান করা যায়।