শেষ আপডেট: 3rd January 2025 15:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিএনপি নেত্রী তথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে চায় তাঁর দল বিএনপি। বাংলাদেশের ভিভিআইপি রাজনীতিকদের মধ্যে এখন তালিকার এক নম্বরে আছেন বিএনপি নেত্রী। তাঁর জন্য সর্বক্ষণ সরকারি নিরাপত্তা বরাদ্দ। তারপরও তাঁর দল বিএনপি দলের তরফ থাকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে চায়। দলের হয়ে যারা নেত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন তাদের জন্য ওয়ারলেস সেট কেনা এবং সেগুলি ব্যবহারের জন্য পৃথক বেতার তরঙ্গ বরাদ্দের দাবি জানিয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছে বর্তমানে দেশের অন্যতম দলটি।
খালেজা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী এবিএম আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, তাঁরা প্রথমে বাংলাদেশ টেলি নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন বিএনপি-র নামে পৃথক বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ করতে। যাতে প্রশাসনের পাশাপাশি দলও নেত্রীর নিরাপত্তার দিকে নজরদারি চালাতে পারে। বাড়তি নিরাপত্তা বরাদ্দ করাও দলের উদ্দেশ্য।
টেলি নিয়ন্ত্রণ কমিশন অবশ্য আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, কোনও রাজনৈতিক দলকে এই ধরনের অনুমতি দেওয়ার সুযোগ বর্তমান আইনে নেই। বিএনপি যদি কোনও বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সিকে নিয়োগ করে সরকার তাদের জন্য পৃথক বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ করতে পারে। টেলিকমিশন আর্জি খারিজ করায় বিএনপি সরকারের টেলি কমিউনিকেশন মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছে।
যদিও বিএনপি-র আর্জি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে বিএনপি আসলে সরকারকে বার্তা দিতে চেয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় তারা সন্তুষ্ট নয়।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কথা। চিকিৎসার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর অথবা থাইল্যান্ডে যেতে পারেন। আর আগে লন্ডনে যাবেন তাঁর পুত্র তারেক জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে। তারেক এখনও দেশে ফেরার অনুমতি পাননি। লন্ডন থেকে খালেদা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন।
দেশে ফিরে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হতেও বাধা নেই। বিএনপি মনে করছে, ফের জনতার কাছে যাওয়ার আগে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার। তাৎপর্যপূর্ণ হল, নিরাপত্তা বাড়াতে সরকারের দ্বারস্থ না হয়ে বিএনপি নিজেই সে দায়িত্ব নিতে চাইছে। মনে করা হচ্ছে দল কোনও বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সির হাতে খালেদার নিরাপত্তার ভার তুলে দিতে চাইছে যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দলের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট তারা সরকারি নিরাপত্তার উপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছেন না।