শেষ আপডেট: 26th October 2024 11:10
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশ সরকারের দু’জন শীর্ষ কর্তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আমেরিকার একটি আদালত। ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল জজ সালাউদ্দিন আহমেদ ও আহসন এইচ মনসুরকে আগামী বুধবার আদালতে পেশ করতে সে দেশের মার্শাল সার্ভিস বা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। সালাউদ্দিন আহমেদ বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা, বলতে গেলে দেশের অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে, আহসন এইচ মনসুর বাংলাদেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর, যা ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমতুল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ঘটনা বাংলাদেশবাসীর জন্য অত্যন্ত লজ্জার। দুই কর্তাই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বাংলাদেশ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের দফতরে ছাত্রদের দিয়ে বিক্ষোভ করিয়ে আগের কর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করে মনসুরকে বসান ইউনুস। দায়িত্ব নিয়ে দু’জনেই দেশে আর্থিক সংস্কারের নামে হাসিনা জমানার ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন। এখন তাঁদের বিরুদ্ধে মার্কিন মুলুকে অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় সরকার বিপাকে পড়ে গিয়েছে। দেশে অনেকেই দাবি তুলেছেন, যদি গ্রেফতারি এড়াতেও পারেন, সালাউদ্দিন আহমেদ ও আহসন এইচ মনসুরকে অবিলম্বে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া দরকার।
ঘটনাচক্রে বাংলাদেশ সরকারের এই দুই অর্থ-কর্তাই এখন আমেরিকায় আছেন। বিশ্বব্যাঙ্ক ও আইএমএফের সভায় যোগ দিতে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সেখানেই গ্রেফতার করে নেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রবল উদ্বেগের মধ্যে আছে ইউনুস সরকার।
বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুরোধ করেছে সালাউদ্দিন আহমেদ ও আহসন এইচ মনসুরকে যেন গ্রেফতার না করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ কূটনৈতিক চ্যানেলে মেটানোর চেষ্টা করা হবে। মার্কিন দূতাবাস কোনও কথা দেয়নি। তাদের বক্তব্য, সরকারের পক্ষে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ করার কোনও সুযোগ নেই।
বাংলাদেশের এই দুই অর্থকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে আমেরিকার একটি কোম্পানি। হাসিনা জমানার সময়েই তাঁদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক। প্রশ্ন উঠেছে, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সম্ভাবনার কথা জানা সত্ত্বেও কেন এই দুই কর্তা গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছিলেন।