শেষ আপডেট: 7 May 2025 16:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাকিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি (terrorists camps in Pakistan) ভাঙতে ভারতের সামরিক অভিযান (surgical strike) নিয়ে বিবৃতি দিল বাংলাদেশের নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (National Citizens Party)। শেখ হাসিনার সরকারকে (Sheikh Hasina's government) উৎখাতের মুখ্য কারিগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বের তৈরি এই দল উপ মহাদেশে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে যথারীতি আক্রমণ শানিয়েছে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লিগকে। পাকিস্তানে ভারতের জবাবি অভিযানে রুষ্ট মহম্মদ ইউনুসের (Md Yunus) অনুগামী এই দল। ভারতের প্রত্যাঘাত নিয়ে তারাই প্রথম বিবৃতি দিল। পাকিস্তানের অনুগামী এই রাজনৈতিক শক্তির পিছনে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) পূর্ণ মদত আছে বলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের খবর। বস্তুত ইউনুস প্রশাসনের কথাই নতুন তৈরি দলটির মুখ দিয়ে বলানো হয়েছে বলে খবর।
নাহিদ ইসলাম, হাতনাত আবদুল্লাহদের দল ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আগাগোড়া আওয়ামী লিগকে নিশানা করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারত কর্তৃক পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে এবং এক ধরনের যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সরাসরি আঘাত করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি - এনসিপি বিবাদমান উভয় পক্ষকে এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতির স্বার্থে যথাযথ ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেছে, ভারতে অবস্থানরত পলাতক ফ্যাসিবাদী ও গণহত্যাকারী আওয়ামী লিগের হাজারো নেতাকর্মী বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এই দুর্বৃত্ত গোষ্ঠী বিদ্যমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চক্রান্তে লিপ্ত। তারা সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের জান-মালের ক্ষতি সাধনে সক্রিয় ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির বক্তব্য, ফলত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন সীমান্ত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে।
বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের এবং এর সার্বভৌম নাগরিকদের দ্বারা সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে এনসিপি। এই জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এনসিপি সক্রিয় ভূমিকা পালনের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।
তারা আরও বলেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, জনগণের সংগঠিত শক্তি এবং সর্বাত্মক সতর্কতাই বাংলাদেশকে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র ও বৈদেশিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।