বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিগ্রহের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় রাষ্ট্রপুঞ্জ, মোদী কথা বলুন হাসিনার সঙ্গে, আর্জি ইসকনের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইসকন কর্তৃপক্ষের আবেদনে বাংলাদেশে (bangladesh) মন্দিরে মন্দিরে (temples), ভক্তদের (devotees) ওপর হামলার নিন্দায় সরব হল রাষ্ট্রপুঞ্জ (united nations)। ইসকনের তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংস্থা
শেষ আপডেট: 19 October 2021 07:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ইসকন কর্তৃপক্ষের আবেদনে বাংলাদেশে (bangladesh) মন্দিরে মন্দিরে (temples), ভক্তদের (devotees) ওপর হামলার নিন্দায় সরব হল রাষ্ট্রপুঞ্জ (united nations)। ইসকনের তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংস্থার বাংলাদেশের কোঅর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো ট্যুইট করে সংখ্যালঘুদের (minorities) সুরক্ষা ও সাম্প্রতিক আক্রমণ, হামলার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছেন। বলেছেন, এধরনের হামলা সংবিধানের মূল্যবোধের পরিপন্থী, অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন--কেউ ভালবাসে না', রাগে বাবা-মায়ের খাবারে বিষ মেশাল কিশোরী! বাঁচল শুধু দাদা
যদিও মিয়ার বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে ইসকন মন্দিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাশ ক্ষোভ জানিয়েছেন, এখনও হামলা চলছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুয়েত্রেসের তরফে নিন্দা করে কঠোর বিবৃতি আসবে, আশা ছিল। আইনজীবী বিনিত জিন্দলও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, বাংলাদেশে এখনও বিপন্ন সংখ্যালঘুরা। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে বিবৃতিই যথেষ্ট নয়।
তবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের কাছে আশার খবর, বিশ্বজুড়ে নিন্দা, প্রতিবাদের স্বর ক্রমশঃ জোরদার হচ্ছে। আমেরিকার হিন্দুদের পাশাপাশি হিন্দু কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়াও বাংলাদেশের ঘটনাবলীর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বলেছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন কর্তাব্যক্তিরাও নিন্দা করেছেন।
রাধারমন দাশ বাংলাদেশে হিন্দুরা একাধিক অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করে বেঁচে আছেন বলে রাষ্ট্রপুঞ্জকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন। বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে গোটা দুনিয়া মুখ বুজে আছে বলেও অনুযোগ করে ক্ষোভ জানান তিনি। বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ভুলেই গিয়েছে বাকি দুনিয়া। দুর্ভাগ্যাজনক হল, ৯ দিন ধরে হিংসার চক্র অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জ বা রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠন একটা বিবৃতি দিয়েও নিন্দা করল না! অথচ তাদের আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের পাশে থাকা উচিত ছিল। ইসকনের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আবেদন করা হয়েছে, তিনি যাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি ইসকনের ভক্তরা হোয়াইট হাউস, রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।