শেষ আপডেট: 16th September 2024 11:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার সকালে বাংলাদেশে সে দেশের গণমাধ্যমের দু’জন প্রথমসারির সম্পাদককে আটক করা হয়েছে। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থেকে তাঁদের আটক করে স্থানীয় পুলিশ। তাঁদের একজন মোজাম্মেল বাবু বাংলাদেশ এডিটর্স গিল্ডের সভাপতি। অপরজন শ্যামল দত্ত ঢাকার ‘ভোরের কাগজ’ দৈনিকের সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবেরও সম্পাদক।
গত শনিবারই বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনা নিয়ে সরব হয়। গত মাসের মাঝামাঝি নাগাদ সম্পাদক পরিষদ প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে দেখা করে সাংবাদিকদের উপর সরকারি এজেন্সির দমনপীড়ন, মিথ্যা মামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে স্মারকলিপি দেয়। ইউনুস তাঁদের আশ্বাস দেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি দেখবেন। চারদিন আগে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ইউনুস দাবি করেন, তাঁর এক মাসের শাসনে অর্জিত কৃতিত্বের অন্যতম হল স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। তারা এখন স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে, যা হাসিনা জমানায় ভাবাই যেত না।
বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্পাদক পরিষদ বলেছে, সাংবাদিকেরা বিপন্ন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ১০ জনের বেশি সাংবাদিককে জেলে পাঠানো হয়েছে। একটি খুনের মামলায় ২৫ জন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠনের বক্তব্য, এমন নয় যে অভিযুক্ত সাংবাদিকেরা কোটা বিরোধী আন্দোলন বা হাসিনাকে উৎখাত অভিযানের বিরোধিতা করেছিলেন। অনেকেই আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে লেখালেখি, টেলিভিশন টক-শো-এ সরব হন। একই সঙ্গে তাঁরা ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে চলা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। দেখা যাচ্ছে বেছে বেছে সেই সাংবাদিকদেরই টার্গেট করা হয়েছে।
৫ অগাস্ট সে দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদের উপরও হামলা-মামলার ঘটনা বেড়েছে। মালিকদের চাপ দিয়ে চাকরি খেয়ে নেওয়া হয়েছে নয়া শাসকদের অপছন্দের বহু সাংবাদিকের।
সোমবার সকালে মোট তিনজন সাংবাদিককে আটক করে পুলিশ। ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্তের অপারে ভারতের মেঘালয়। সেখান দিয়ে বৈধভাবেই দু-দেশের নাগরিকদের যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। অভিযোগ, সীমান্ত চেকপোস্টে যাওয়ার আগেই সাংবাদিকদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটকদের মধ্যে একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহবুবুর রহমানও রয়েছেন।