শেষ আপডেট: 11th November 2024 13:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের সংবিধান এখনও বহাল আছে। সেই সংবিধান অনুযায়ী দেশের সব সরকারি অফিসে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকার কথা। কিন্তু রবিবার রাতে রাষ্ট্রপতির অফিস-বাড়ি বঙ্গভবন থেকেও মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এই ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ভবন সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। বিষয়টি জানাজানি হয়েছে রবিবার উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেওয়া মাহফুজ আলমের ফেসবুক পোস্টে।
শপথ নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বিশেষ সহকারী। মাহফুজ ফেসবুকে লিখেছেন, 'দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান অর্থাৎ ৭১ পরবর্তী ফ্যাসিস্টের ছবি সরানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে আমরা ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে তাঁর ছবি সরাতে পারিনি। ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু, মানুষের জুলাইয়ের চেতনা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তাঁকে কোথাও দেখা যাবে না।’
মাহফুজ আরও লিখেছেন, 'শেখ মুজিব এবং তাঁর কন্যা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছেন তার জন্য আওয়ামী লিগকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।'
১৯৭২-এর অগণতান্ত্রিক সংবিধান থেকে শুরু করে দুর্ভিক্ষ, বিলিয়ন কোটি টাকা পাচার এবং হাজার হাজার ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪ অর্থাৎ মুজিব ও হাসিনার জমানা) হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের বিচার ছাড়া কোনও ধরনের ক্ষমা ও পুর্নমিলন হবে না।’
প্রসঙ্গত, ৫ অগাস্টের পর বাংলাদেশের সব সরকারি অফিস থেকেই শেখ মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়। ভাঙা হয়েছে অসংখ্য মূর্তি। বাতিল হয়েছে তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিনের ছুটি। যদিও এখনও তিনি সরকারিভাবে জাতির পিতা। সেই স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হয়নি। রবিবার নতুন তিন উপদেষ্টার শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে মুজিবের ছবি দেখে অনেকেই বিরক্তি প্রকাশ করেন বলে খবর। তারপর রাতেই ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়।