শেষ আপডেট: 6th February 2025 20:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার রাতে ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে শেখ মুজিবুর রহমানের যে বাড়িটি ছিল তা ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, কেউ হাতুড়ি হাতে কাঠামো ভেঙে নিচ্ছেন, কেউ বই ও আসবাবপত্র টেনে বের করছেন।
ঢাকা এবং অন্যত্র বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার ঘটনায় শেখ হাসিনাকে কাঠগড়ায় তুলেছে মহম্মদ ইউনুসের সরকার। তাদের বক্তব্য, হাসিনার বুধবারের উসকানিমূলক ভাষণই যত অশান্তির মূল। হাসিনাকে যাতে ভাষণ দিতে না দেওয়া হয় সে জন্য ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সে দেশের প্রশাসন।
কিন্তু, এহেন ধ্বংসাত্মক মনোভাবের নেপথ্যে নাকি রয়েছেন অন্য একজন। তিনি পিনাকি ভট্টাচার্য। বাংলাদেশের অন্দরে ভারত বিরোধীতার সলতে পাকানোর কাজটাও তাঁরই তৈরি বলে মনে করছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। কে এই পিনাকি? সরকারি খাতায়-কলমে স্বীকৃত চিকিৎসক। আর অনলাইনে তাঁর পরিচয় বাংলাদেশি অ্যাক্টিভিস্ট হিসাবে। অনেকেই বলেন, বেশ কিছুটা সময় বাংলাদেশের অন্দরে রাজনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে বরাবর হাসিনা-বিরোধী কার্যকলাপ চালিয়ে এসেছেন পিনাকি।
বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতার জন্য তাঁর দিকেই দায় ঠেলে তসলিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে লিখুন সবাই। লিখুন যে পিনাকি ভট্টাচার্য নামক এক ইসলামী সন্ত্রাসী প্যারিসে বাস করছে, সে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর বর্বরতা, সন্ত্রাস এবং নৃশংসতা ছড়াচ্ছে, দেশের জাতীয় সম্পদ নষ্ট করছে। লিখুন এই হিন্দু নামধারী ইসলামী সন্ত্রাসীটি গণতন্ত্র বিরোধী, মানবাধিকার বিরোধী, বাকস্বাধীনতা বিরোধী এবং নারীবিদ্বেষী।"
তিনি আরও লেখেন, "রিপোর্ট বেশি হলে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পিনাকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও পারেন। ইসলামী সন্ত্রাসীরা ফ্রান্সের ক্ষতি কম করেনি। আজ পিনাকি তার নিজের দেশে সন্ত্রাস করছে, কাল ফ্রান্সে সন্ত্রাস করতে পারে, সুতরাং প্রেসিডেন্ট ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিতেও পারেন।"
এখানে বলে রাখা দরকার, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে নিজের MBBS ডিগ্রি নেওয়ার পরে পরবর্তী পড়াশোনার জন্য ফ্রান্সে চলে যান পিনাকি। কয়েক দশক পর ওই দেশেরই রাজনৈতিক শরণার্থী হয়ে যান তিনি।