শেষ আপডেট: 14th August 2024 21:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ। আর শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর তো হিংসা চরমে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরও এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্বখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি। ঘটনায় শোরগোল ওপার বাংলার মতো এপার বাংলাতেও।
রাজশাহি শহরের মিয়াপুর এলাকায় ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই ছোটবেলা কেটেছে তাঁর। সেই বাড়িই ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে রাজশাহি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। তারাই লোক দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বলে দাবি। যদিও কাউকে এখনও পর্যন্ত আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি এখনও।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছে। তাঁদের বক্তব্য, রাজশাহি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের একদম পাশে এই বাড়ি, কিন্তু সেই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হলেও হাসপাতালে কোনও আঁচ পড়েনি। এর থেকেই বোঝা যায় কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সংগঠনের অভিযোগ, ঋত্বিক ঘটকের বাড়ির জমির কিছুটা দখল করে আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিল্ডিং বানিয়েছে। এবার পুরো জায়গা দখল করার জন্যই এই কাজ করেছে।
মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। পরিচালক তৌকির শাইকের দাবি, এর আগে ঋত্বিক ঘটকের বাড়ি ভাঙার বহু চেষ্টা করেছে তাঁরা। কিন্তু পারেনি। তবে বাড়ি ভাঙার অজুহাত খুঁজছিল। এমনকী তিনি এও জানিয়েছেন, এই বাড়ির ওপর যাতে কোনও আক্রমণ না হয় তার জন্য স্টে অর্ডার আনা হয়েছিল। কিন্তু গত ৬ অগস্ট থেকে মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি যা বাড়ির দিকে ছিল তা বন্ধ করা রয়েছে। কেন তা করা হয়েছে, তা কোনও উত্তর নেই।
এদিকে এই অভিযোগ ওঠার পর রাজশাহি হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, গত ৬ তারিখ তাঁর কাছে খবর আসে ৬-৭ জন মিলে ওই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করায় তারা পালিয়ে যায়। তবে কাউকে চেনেন না তিনি। তাঁর সাফ কথা, ওরা কেউ কলেজের ছাত্র ছিল না। সিসিটিভি ফুটেজ কেন নেই এই প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, দুষ্কৃতীরাই তা ভেঙে দিয়েছে।
শুধুমাত্র ভাঙা চালানোর জন্য বাড়ি ভেঙে গেল কী করে? কলেজ প্রিন্সিপালের কথায়, ঘটনার পরের দিন তিনি দেখেন বাড়ির একাংশ ভেঙে গেছে। তাই তা পরিষ্কারের জন্য কনট্রাক্টর ডাকেন। ভাঙা অংশ সাফ করতে গিয়ে বাড়ির বাকি অংশও ভেঙে পড়ে। তাঁর যুক্তি, বাড়িটি এমনই অনেক পুরনো। তাই কনট্রাক্টরের কাজের কম্পনে হয়তো ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে রাজশাহি ডেপুটি কমিশনার এই ঘটনার তদন্ত একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং তাঁদের ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।