শেষ আপডেট: 5th August 2024 17:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ৫ আগস্ট, সোমবার, বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করছে আন্দোলনকারীরা। শুধু তারাই নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতও সেরকমই। ঢাকা শহর সহ গোটা দেশ এদিন ছিল রাজপথে। এই অবস্থায় দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা ট্রিবিউনের এক্সিকিউটিভ এডিটর রিয়াজ আহমেদ।
দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রাক্তন এমপি রুমিন ফারহানা এদিন বলেন, আজ জনগণের জয় হয়েছে। ১৯৭১ সালে যেভাবে স্বাধীন বাংলা গড়ে উঠেছিল, সেভাবে আজও আমরা দ্বিতীয়বার স্বাধীন হলাম। মানুষ চাইছিল হাসিনা সরে যান। দেশের মানুষ স্বচ্ছ নির্বাচন চায়। অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা করুক। যেখানে সব দল যাতে নির্ভয়ে অংশ নিতে পারে। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারাই সর্বশক্তিমান।
ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক মহম্মদ নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, বৈপ্লবিক ছাত্র এবং নাগরিকদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। এছাড়া অন্য কোনও পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। ফ্যাসিস্ত ও খুনিদের আইনের চৌকাঠে দাঁড় করাতে হবে। বাংলার মাটিতেই এদের বিচার হবে। কাউকে পালিয়ে বাঁচতে দেওয়া হবে না। এদিন সন্ধ্যার মধ্যে যে নির্দোষ মানুষ, রাজনৈতিক বন্দি ও জোর করে নজরবন্দি রাখা হয়েছে তাদের মুক্ত করা হবে। এ এক নতুন বাংলাদেশ এবং এখানে নয়া রাজনৈতিক শাসন কায়েম হবে। শুধু হাসিনা কেন, ফ্যাসিস্ত কোনও শক্তির স্থান হবে না এদেশে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মুবাশর হাসান স্পষ্টতই এই আন্দোলনকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। জনতা যে উল্লাসে গোটা দেশে নেমে পড়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে আবার স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ ফিরে এসেছে। হাসান বলেন, হাসিনা আতঙ্ক সৃষ্টির একটি পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। আচমকা লোকজন উধাও হয়ে যাচ্ছেন, তাঁরা কোথায়, কী অবস্থায় জানতে পারছেন না বাড়ির মানুষ। নির্বিচারে খুন। এমনকী বিরোধীদের উপর হিংসাত্মক আচরণ চালিয়ে তা দমনের বিরুদ্ধে ফুসছিল জনতা। বিচারের কোনও জায়গা ছিল না। মানুষ কোথায় যাবেন, কার কাছে ন্যায্য চাইবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। এই অস্থিরতাই এই জনজাগরণের কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন হাসান।