অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ।
শেষ আপডেট: 20th July 2024 16:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। প্রাণ বাঁচাতে দলে দলে ভারতীয় পড়ুয়া ফিরে আসছেন দেশে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে শতাধিক। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কোটা বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩০০০ জনের বেশি আহত। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ইতিমধ্যে কার্ফু জারি করেছে হাসিনার সরকার। নামানো হয়েছে সেনাও। তবে পরিস্থিতি এখনও অগ্নিগর্ভ।
সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, ফিরে আসাদের মধ্যে সিংহভাগই ডাক্তারির ছাত্র এবং তাদের বেশিরভাগই উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, মেঘালয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার ত্রিপুরার আগরতলার কাছে আখুরাতে আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর এবং মেঘালয়ের ডাউকিতে আন্তর্জাতিক স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন প্রায় এক হাজার পড়ুয়ারা। অন্যদিকে শুক্রবারই কোচবিহারের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মেখলিগঞ্জ গেট দিয়ে বাংলাদেশের রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ৩৩ জন ছাত্রছাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে ছ’জন ভারতীয়। ১৮ জন ভুটানের এবং নেপালের ৯ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছেন।
পড়ুয়ারা বলেছেন, যে তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন এবং দেখছিলেন কিন্তু অবশেষে বৃহস্পতিবার ইন্টারনেট প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ কার্যকর হওয়ার পরে এবং টেলিফোন পরিষেবাগুলিও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হওয়ার পরে আর ঝুঁকি নেননি। দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন।
হরিয়ানা থেকে চট্টগ্রামের মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন আমির। দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া আমির বলেন, "গত কয়েকদিন ধরেই পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। ইন্টারনেট কাজ করছে না, মোবাইল পরিষেবাও বন্ধ। চোখের সামনে একের পর এক মানুষকে মরতে দেখে আর ঝুঁকি নিতে পারিনি। প্রাণ বাঁচাতে আমরা কলেজের কয়েকজন ছাত্র দেশে ফিরে এসেছি।"
আমির জানিয়েছে, বিমানের টিকিটও মেলেনি। বাধ্যহয়ে ঘুর পথে আগরতলা হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। একই কলেজের আর এক ছাত্র মোহাম্মদ ফয়েজ আবদুল্লাহ খান বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বুধবার থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। কলেজের অধ্যক্ষও বলেন, নিরাপত্তাহীন মনে হলে দেশে ফিরে যেতে পারো।
জানা যাচ্ছে, দু'দেশের হাই কমিশনের সহযোগিতায় এখনও পর্যন্ত ৯৯৮ জন পড়ুয়াকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চার হাজারের বেশি ভারতীয় পড়ুয়া আটকে রয়েছে। আকাশপথে তাঁদের ফিরিয়ে আনতে দু'দেশের হাইকমিশন সব ধরনের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য দুদেশের হাই কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে কয়েকটি জরুরি নম্বরের উল্লেখও করা হয়েছে। এগুলি হল- ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনের অফিস (৮৮০ ১৯৩৭৪০০৫৯১), সহকারী হাইকমিশন, চিত্তাগং (৮৮০ ১৮১৪৬৫৪৭৯৭, ৮৮০ ১৮১৪৬৫৪৭৯৯) সহকারী হাই কমিশন, রাজশাহী (৮৮০ ১৭৮৮১৪৮৬৯৬), সহকারী হাইকমিশন, শিলেট (৮৮০, ১৩১৩০৭৬৪১১, ৮৮০ ১৩১৩০৭৬৪১৭), সহকারী হাইকমিশন, খুলনা (৮৮০ ১৮১২৮১৭৭৯৯)