শেষ আপডেট: 14th April 2025 00:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামিকাল সোমবার বাংলাদেশে নববর্ষ। সেই উপলক্ষে দেশবাসীকে নববর্ষ ১৪৩২-এর (Bengali New Year, 1432) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। দেশবাসীর মঙ্গল কামনার পাশাপাশি তিনি নাম করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুসকে নিশানা করেছেন। হাসিনা বলেছেন, আজ বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা অবৈধভাবে (illegally captured power by MD Yunus) ক্ষমতা দখল করেছে। তারা বাঙালির সংস্কৃতিকে ধ্বংস (destroying Bengali culture) করে দিতে তৎপর।
এর আগেও যখনই স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিরোধী শক্তির প্রতিভূরা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছিল তখনই তারা বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির উপর আক্রমণ চালিয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা বন্ধের তৎপরতাসহ এর নামও পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতি তা মেনে নেয়নি। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে যারা এইসব অপতৎপরতা চলাচ্ছে, তারা জাতির শত্রু, সংস্কৃতির শত্রু, দেশের শত্রু। দেশের জনগণ তাদের এই পাঁয়তারা সফল হতে দেবে না।
হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর নব উদ্যমে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর (Muzibir Rahaman) রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাঙালির সংস্কৃতির ধারাকে ধূলিসাৎ করে পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। সংস্কৃতির মাঝে সুকৌশলে রাজনৈতিক বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বিপরীতে বাঙালিও চুপ করে বসে থাকেনি, চালিয়ে গেছে অবিরাম সাংস্কৃতিক সংগ্রাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে প্রতিবছর মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেসকো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়ে আমাদের গোরবান্বিত করে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আওয়ামী লিগ সরকার-ই চাকরিজীবীদের জন্য ইদ, পুজোর উৎসব ভাতার পাশাপাশি ‘বৈশাখী ভাতা’ চালু করে।
আওয়ামী লিগ নেত্রী বলেছেন, পয়লা বৈশাখে দেশ ও জাতির মঙ্গলে জনগণের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত দেশপ্রেম জাগ্রত হোক। খুলে যাক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। স্বাধীনতাবিরোধী, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিরোধী অপশক্তিকে হটিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। সমাগত বাংলা নববর্ষের এই শুভলগ্নে আমাদের অঙ্গীকার হোক যা কিছু অসুস্থ, অসুন্দর, অপসংস্কৃতি; তা বর্জন করে সুস্থ-সুন্দর সংস্কৃতি ও সৃজনশীল জীবন যাপন করি। বাংলা নববর্ষে এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।